No relief for Abhishek Banerjee: অভিষেককে ফের জেরা করতে পারবে CBI, SC-তে মিলল না স্বস্তি, তবে এখনই দিতে হবে না ২৫ লাখ

সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সিবিআই এবং ইডি যে সবুজ সংকেত পেয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করল শীর্ষ আদালত। শুধুমাত্র অভিষেককে যে ২৫ লাখ টাকার জরিমানা করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা, তাতে আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিচারপতি পিএস নরসীমা বলেছেন, ‘যাই হোক, এই বিষয়টা তো সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করছে না (হাসি)।’

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংঘভি সওয়াল করেন, হাইকোর্টের নির্দেশে গলদ আছে। যদিও সেই সওয়ালে ভ্রূক্ষেপ করেনি শীর্ষ আদালত। বিচারপতি জিতেন্দ্র কুমার মাহেশ্বরী বলেন, ‘আমি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। (তৎকালীন) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ পরিবর্তন করেছিলেন। তারা আবেদনের শুনানির সুযোগ দিয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে যে তারা তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এটা কীভাবে ভুল হতে পারে?’ 

একইসুরে বিচারপতি নরসীমা বলেন, ‘সবদিক বিবেচনা করে রায় দেওয়া হয়েছে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিষয়টা যুক্তিসংগত নাও হতে পারে। (তাছাড়া) বাকি যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা ন্যায়সংগত। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে শুধুমাত্র জরিমানার বিষয়টা ছাড়া ওই রায়ে কোনও সমস্যা নেই।’ সেই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, হাইকোর্টের রায়ে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র ২৫ লাখ টাকা জরিমানা প্রদানের নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন অবকাশের পর ১০ জুলাই সেই মামলার ফের শুনানি হবে।

আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: অভিষেকের মামলার জরুরি শুনানি, না ডিভিশন বেঞ্চের, রাজি নয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চও

উল্লেখ্য, গত মার্চে কুন্তল দাবি করেছিলেন যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের নাম বলানোর জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছে ইডি এবং সিবিআই। সেই প্রেক্ষিতে নিম্ন আদালত এবং হেস্টিংস থানায় চিঠিও দিয়েছিলেন কুন্তল। পরবর্তীতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে উত্থাপন করা হয়েছিল। তার জেরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস ওই মামলা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: Abhishek-Kuntal Fined by HC: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা কলকাতা হাইকোর্টের

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে ওই মামলাটি বিচারপতি সিনহার এজলাসে পাঠানো হয়। সেখানেও স্বস্তি পাননি অভিষেক। বরং সিবিআই এবং ইডি চাইলে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি সিনহা। সেইসঙ্গে কুন্তল এবং অভিষেককে মোট ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় (অভিষেকের ২৫ লাখ টাকা)। তারপরই অভিষেককে প্রায় সাড়ে নয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তা নিয়ে শীর্ষ আদালতে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিষেকের আইনজীবী। তবে তাঁর দ্রুত শুনানির আর্জি গৃহীত হয়নি। সেইসময় সিঙ্ঘভি আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন যে ‘পরের বার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হবে।’

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)