Rare Genetic Mutation: হাজার কেটে ছড়ে গেলেও ব্যথা লাগে না মোটে! কী এমন জাদু জানেন এই বৃদ্ধা

রোগ হোক বা কেটে যাক, ছড়ে যাক ব্যথাটা যেন না হয়। ব্যথা না হলে মনে যেন এক অন্যরকম স্বস্তি হয়। ব্যথা হবে বলেই আমরা রোগে ভোগা বা কেটে যাওয়া, ছড়ে যাওয়াকে ভয় পাই। তবে পৃথিবীতে এমন মানুষও রয়েছে যার কোন কিছুতেই ব্যাথা লাগে না। অর্থাৎ কেটে যাক, ছড়ে যাক বা ভয়ঙ্কর রোগ হোক, কোন ব্যথাই শরীরে অনুভূত হয় না। ব্যথা হয় না বলে রোগের নাম শুনলেও মনে কোন ভয়ডরের লেশ নেই তাঁর। সম্প্রতি এমনই এক মহিলার উপরে গবেষণা করে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন। কেন ওই মহিলা কোনও ব্যথা পান না? তারই উত্তর দিয়েছেন গবেষকরা। 

আরও পড়ুন: মানসিক চাপে জেরবার? দুজনের মধ্যে এই ৫ সমস্যা নেই তো? সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞ

আরও পড়ুন: DSLR ক্যামেরাতেই বাজিমাত! ২ কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকা নক্ষত্রের ছবি তুলল ইসরো

মহিলার মধ্যে একটি বিরল জিন মিউটেশনের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ৭৫ বছর বয়সী ওই মহিলার নাম জো ক্যামেরন। জো-এর জিনেই একটি বিরল মিউটেশন দেখতে পেয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক দল। শুধু তাই নয়, কীভাবে ওই বিশেষ জিনটি কাজ করে, তাঁরও খোঁজ মিলেছে। ব্যথা বেদনা উধাও করে দেয় এই বিশেষ জিনটির নামটা বেশ কায়দার। ফাহ-আউট (FAAH-OUT) নামের ওই জিনটি আণবিক স্তরে কীভাবে কাজ করে তার বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা‌। সম্প্রতি এই গবেষণা প্রকাশিত হয় জার্নল ব্রেন নামের বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকায়।  আণবিক স্তরে এই জিনের কাজ বোঝা কেন গুরুত্বপূর্ণ? সে কথাও গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জিনটি কীভাবে কাজ করছে তা জানা গেলে এর ভিত্তিতে ওষুধ তৈরি করা সম্ভব। যা ভবিষ্যতে বড় বড় রোগের মসিহা হয়ে উঠতে পারে।

এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক আন্দ্রেই ওকোরভ  বলেন, মানসিক অবসাদ মেজাজ ঘনঘন করতে যাওয়া নিরিখ এই গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি রোগের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মেজাজ, ব্যথা পাওয়ার ধরন এবং সেরে ওঠার প্রক্রিয়া নানা ভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। কীভাবে এই গোটা ঘটনাগুলি ঘটে, সেটিও জানা সম্ভব এই গবেষণা থেকে। জিনের কার্য পদ্ধতিতে ঠিকমতো অনুকরণ করতে পারলে সেই প্রক্রিয়াগুলোতেও বদলা আনা সম্ভব। এতে কোনও রোগের চিকিৎসাও অনেকটা উন্নত হবে। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup