মৃত্যুর ৪ বছর পর প্রকাশ্যে উত্তরপ্রদেশ থেকে উঠে আসা জঙ্গি নেতা অসিম উমরের ভিডিয়ো! নেপথ্যে আলকায়দা

জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’ তথা একিউআইএসের তরফে এক নয়া ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’ তথা একিউআইএসের প্রাক্তন প্রধান আসিম উমরের এই ভিডিয়ো ঘিরে বহু প্রশ্ন সামনে আসতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে একিউআইএস প্রধান আসিম উমরের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর প্রদেশের সাম্বালে জন্ম আসিম ভারত থেকে পাকিস্তানে পৌঁছে ধীরে ধীরে সন্ত্রাসের দুনিয়ার কুখ্যাত নাম হয়ে ওঠে। তার মৃত্যুর এত বছর পর কেন এই ভিডিয়ো সামনে এল, তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গিদের উদ্দেশে কিছু বলছে এই জঙ্গি নেতা উমর। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে যাওয়ার আগে দারুম উলুম দেওবন্দের সদস্য ছিল উমর। জানা যায়, আল কায়দার নামি নেতাদের মধ্যে ছিল এই আসিম। আফগানিস্তানে ২০১৯ সালে মার্কিন- আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযানে মারা যায় সে। যে এলাকায় আসিম মারা গিয়েছিল, তা ছিল তালিবানি গোপন ডেরা। মার্কিন আফগান যৌথ বাহিনীর ওই হামলা চলেছিল আফগানিস্তানের হেলমন্দের মুসা কালা এলাকায়। ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে হত্যা করা হয়।

স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে তার মৃত্যুর এত বছর পর এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় এনে কোন বার্তা দিতে চাইছে আল কায়দা? এদিকে, যে সময় উমরের মৃত্যু হয়েছিল সেই সময় দেখা গিয়েছে, তাঁর মৃত্যু তৎকালীন সময়ে নিরাপত্তার নিরিথে বড়সড় সাফল্য। এদিকে, এখনও পর্যন্ত আল কায়দার এই নেতা আসিম উমরের ডিজিটাল মাধ্যমে কোনও চিহ্নই মেলেনি। তবে এই প্রথমবার তা উঠে এল। কেনই বা তার মৃত্যুর এত বছর পর সেই ভিডিয়ো উঠে আসছে, তা নিয়ে উঠছে বহু প্রশ্ন। উত্তর প্রদেশে জন্মানো আসিমকে বহু আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী’র তকমা দিয়েছিল। আশির দশকে সে পাকিস্তানে রওনা হয় বলেও তথ্য উঠে আসে গোয়েন্দা সূত্রে । তার আগে দেওবন্দে সে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছিল। উল্লেখ্য, যে সময় আলকায়দার নেতা ছিল ওসামা বিন লাদেন, সেই সময়ই জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দেয় আসিম। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গা হামলা চালানের নেপথ্য নাম হিসাবে আসিমের নাম উঠে আসে।