Manipur Violence: হিংসা কবলিত মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শাহ, ‘সব ঠিক হতে সময় লাগবে’, বলছেন CDS

এপ্রিলের শেষ থেকেই ধিক ধিক করে জ্বলছিল আগুন। মে মাসের শুরুতেই তা ছড়িয়ে পড়েছিল মণিপুর জুড়ে। সেই হিংসার আগুন এখনও নেভেনি। এরই মাঝে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেরাজ্যে গিয়ে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। কুকি এবং মৈতৈ জনজাতির সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে অমিত শাহের মণিপুর সফরের আগেই নতুন করে হিংসার আগুন জ্বলে উঠেছিল সেরাজ্যে। রবিবারই সেই রাজ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয় এই হিংসায়। মৃতদের মধ্যে একজন পুলিশকর্মীও আছেন। এদিকে শাহের আগে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মণিপুর যান সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। এদিকে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও অনেকটা সময় লাগবে।

জেনারেল চৌহান এই নিয়ে বলেন, ‘জঙ্গি বিরোধী অভিযানের সঙ্গে মণিপুরের পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই। সেখানে দুই জনজাতির মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। এটা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত পরিস্থিতি। আমরা রাজ্য সরকারকে সাহায্য করছি। সেখানে সেনা বেশ ভালো কাজ করেছে এবং প্রচুর সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। তবে এখনও মণিপুরে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে সেনাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সেখানে সময় লাগবে।’ উল্লেখ্য, গতকালই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ঘোষণা করেছিলেন যে বিগত ৪ দিনে ৪০ জন সশস্ত্র কুকি জঙ্গিকে খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আর এরপরই ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেই রাজ্যে।

বিগত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। বর্তমানে ভারতীয় সেনা এবং অসম রাইফেলসের কয়েক হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন রয়েছে সেরাজ্যে। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

প্রসঙ্গত, ইম্ফাল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মৈতৈ জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিরোধ জানিয়েছে স্থানীয় আদিবাসীরা। এই আবহে মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল বুধবার। সেই মিছিল ঘিরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়। এদিকে তফশিলি উপজাতির ইস্যুর পাশাপাশি সংরক্ষিত জমি এবং সার্ভে নিয়েও উত্তাপ ছড়িয়েছে। এই আবহে গত মাসে এই চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা। এদিকে এই জেলা থেকে আদিবাসী বনাম মৈতৈদের এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য জেলাতেও।