রাহুল সিং
এবার ব্রহ্মস সুপারসোনিক ক্রুজ মিসাইলের ছোট সংস্করণ আনার চেষ্টা করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী বুধবার এব্যাপারে জানিয়েছেন। মূলত এই ধরণের ছোট মিসাইল অপেক্ষাকৃত ছোট ফাইটার জেট মিগ ২৯, মিরেজ ২০০০য়ের মতো ফাইটার জেটের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে। মূলত স্থলভূমিতে হামলার ক্ষেত্রে এই ধরনের মিসাইল অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে।
বর্তমানে কেবলমাত্র ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের ৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ব্রহ্মস যুক্ত করা আছে। এর ওজন প্রায় ২.৫টন। শব্দের থেকে প্রায় তিনগুণ গতিতে এটা ছুটতে পারে। আর নেক্সট জেনারেশনের ছোট ব্রহ্মসের ওজন হতে পারে ১.২ টন। তবে বড় ব্রহ্মসের থেকে এটা ধ্বংসাত্মক ক্ষমতায় কম কিছু হবে না।
বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন, এই মাইলস্টোনে পৌঁছতে পারলে আত্মনির্ভর ভারতের দিকে আমরা একধাপ এগিয়ে যেতে পারব।
এদিকে বর্তমানে বায়ুসেনার তরফে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, ৪০টি সু-৩০ যুদ্ধ বিমানকে কার্যকরী করা হবে যাতে তারা এই মিসাইল বহন করতে পারে। তবে এবার ঠিক করা হয়েছে গোটা Su-30 টিমকেই এই ব্রহ্মস বহন করার জন্য় তৈরি করা হবে।
ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন, উত্তর সীমান্তে স্থলভাগে হানার উপযোগী অস্ত্র দরকার। বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার সমস্ত স্কোয়াড্রনে ব্রহ্মস বহন উপযোগী এয়ারক্রাফট রয়েছে। এই মিসাইলকে তিনি অন্যতম ধ্বংসাত্মক মিসাইল বলে উল্লেখ করেছেন।
বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন, আমাদের শক্তি ও বৈজ্ঞানিক বোধকে কাজে লাগিয়ে একই পাল্লার ও ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা সম্পন্ন তুলনায় ছোট অস্ত্র তৈরি করতে হবে। ৫০ তম বার্ষিকীতে এটা হবে আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
প্রসঙ্গত ভারতীয় বায়ুসেনা তামিলনাড়ু তাঞ্জাভুর এয়ার ফোর্স স্টেশনে এসইউ-৩০ এমকেআই ফাইটার জেটের নতুন স্কোয়াড্রন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এই নয়া ব্যবস্থার মাধ্যমে একেবারে শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে একেবারে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে পারবে ভারতীয় বায়ু সেনা। আবহাওয়ার সমস্ত পরিস্থিতিতেই এই বিমান কার্যকরী হবে।