তৎপতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ হচ্ছে, এই তৎপরতা যদি আগে দেখানো হতে তবে বহু মানুষের প্রাণ বেঁচে যেত। বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এমনই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। এ দিন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নির্দেশে দুর্ঘটনাস্থলে যান অধীর চৌধুরী এবং এআইসিসি ইনচার্জ এ চেল্লা কুমার। তার কথা বলেন উদ্ধারকাজে রত আধিকারিকদের সঙ্গে।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,’দুর্ঘটনার পর সমস্ত ব্যবস্থাই করা হয়েছে। আমি বলব না যে কিছু করা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য রেল আধিকারিক ও শ্রমিকরা দিনরাত এক করে কাজ করছেন। কিন্তু যা হচ্ছে সব ঘটনা ঘটার পর। কিন্তু এই ধরনের তৎপরতা যদি সব ঘটনা ঘটার আগে দেখানো হয়, তাহলে আমেদের এই হৃদয় বিদারক ঘটনা দেখতে হতো না।’ নাম না করে মোদী সরকারের সমালোচনা করে অধীর বলেন,’ নানা রকমের বড় বড় কথা বলা হয়, কিন্তু তা কাজে প্রয়োগ হয় না। হলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেতে পারত।’ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরে আহত যাত্রীদের দেখতে বালেশ্বর সরকারি হাসপাতালে যান অধীর চৌধুরী।
এর আগে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা নিয়ে অধীর বলেন,’রেলমন্ত্রী এক জন টেকনিক্যাল লোক। কিন্তু মোদীর ছায়ায় উনি ঢাকা পড়ে গিয়েছেন।’ তবে তিনি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা চাননি। তাঁর কথায়, ‘আমি বলছি না ইস্তফা দিতে হবে, কিন্তু এর সমাধান দরকার।’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আরও প্রশ্ন,’লুপ লাইনে কী করে ঢুকে পড়ল ট্রেন? এ কি আদৌ সম্ভব।’ তিনি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন। এই প্রসঙ্গে অধীর কটাক্ষ করেন বন্দেভারত ট্রেপ প্রকল্পকেও। তিনি বলেন,’বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের নামে চারিদিকে পতাকা নেড়ে বেড়াচ্ছেন। সেমি হাইস্পিড ট্রেন চলবে এই ট্রাক দিয়ে? লাইন সুরক্ষিত তো?’
তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘লুপ লাইনে কীভাবে ঢুকে পড়ল মেন লাইনের ট্রেন? এটা কি আদৌ সম্ভব? এর একটা নির্দিষ্ট রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হোক।’ অধীরের কটাক্ষ ‘বন্দেভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের নাম করে চারদিকে পতাকা নেড়ে বেড়াচ্ছেন৷ এই লাইন দিয়েই তো বন্দেভারত চালাবে। সেমি হাইস্পিড ট্রেন চলবে এই ট্র্যাক দিয়ে, আদৌ সুরক্ষিত তো?’