Suvendu Adhikari:চোরের ওকালতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী, গোটা পরিবারটাই প্রতিষ্ঠিত চোর: শুভেন্দু

গোটা পরিবারটা প্রতিষ্ঠিত চোর। ইডির তরফে রুজিরা নারুলার বিদেশযাত্রা রোখার ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর প্রশ্ন, গোটা দেশটা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার চালায় না কি? এমনকী অভিষেক ও তাঁর পরিবারের আয়ের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘ওনার নামে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কাশীকর্ণ শাখায় ৪ বছর কয়লা পাচারের টাকা গেছে। আমি সব সভায় চেক দেখাই। মেনকা গম্ভীরের রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তকারী সংস্থা বা আদালতের অনুমতি ছাড়া উনি যেতে পারেন না। ওনার স্বামী একবার দুবাই গিয়েছে, একবার আমেরিকা গিয়েছে। আদালতে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দিয়েছে। আইনটা মানতে হবে। পশ্চিমবঙ্গটা চালাতে পারে কিন্তু দেশটা ব্যানার্জি পরিবার চালায় না। দেশ চালায় সংবিধান’।

শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘উনি ভাবছিলেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যে ভাবে জ্ঞানবন্ত সিং গায়ের জোরে ব্যাগগুলো বার করে এনেছিলেন এখনও কলকাতা বা বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গিয়ে ওনাকে দুবাইয়ের প্লেনে চড়িয়ে দেবে। দিনকাল বদলে গেছে’।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ছাড়েননি শুভেন্দু, ‘মুখ্যমন্ত্রী একটা সময় বলতেন আমার কোনও পরিবার নেই। আর এখন তিনি একটা চোরের হয়ে ওকালতি করছেন। কাশীকর্ণ ব্যাঙ্কের টাকা কার, মুখ্যমন্ত্রী জবাব দেন না কেন? গোটা পরিবারটা চোর। প্রতিষ্ঠিত চোর। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্রয়, প্রশ্রয়, ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই এসব করছে এরা। এই পরিবারটা পশ্চিমবঙ্গকে লুঠ করছে। আর থাইল্যান্ড, লন্ডন আর দুবাইয়ে টাকা পাচার করছে। ওখান থেকে সোনা কিনে নিয়ে আসছে’।

এর পরই মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর পরিবারের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করান বিরোধী দলনেতা। বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে চাই, রুজিরা নারুলা, মেনকা গম্ভীর ও আপনার ভাইপো ২০১৪ সালের আগে কতবার বিদেশ গিয়েছে। আমি তো অনেক দিনের সাংসদ, বিধায়ক। আমার পাসপোর্ট তো সাদা। আমি তো কাঠমান্ডু, ঢাকা পর্যন্ত যাইনি। ওনারা বিদেশে যান কেন? ২৪টা টিকিট আছে, যেখানে কয়লা ভাইপো, বিনয় মিশ্র ও প্রতীক দেওয়ান একসঙ্গে বিমানে উঠেছে। ১২টা টিকিট আছে যেখানে মেনকা গম্ভীর রুজিরা নারুলারা একসঙ্গে বিমানে চড়েছেন। বিজনেস ক্লাসে গিয়ে বড় বড় হোটেলে থাকছেন। কোথা থেকে আসে এত টাকা? এই আয়ের উৎস কী? প্রকাশ্যে আনুন। এই রকম দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক পরিবার গোটা ভারতে কোথাও নেই। আপনার পরিবারের ব্যবসাটা কী? আপনার পরিবারকে তো আমরা দেখেছি ২০১১ সালের আগে। এখন দেখছে তো পশ্চিমবাংলার লোক’।