IRCTC on Ticket Cancellation: করমণ্ডলকাণ্ডের পর বেড়েছে টিকিট বাতিল, অভিযোগ কংগ্রেসের, ‘উলটে কমেছে’, দাবি IRCTC-র

করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর থেকে রেল সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে বহু ট্রেন বাতিল হয়েছিল। এদিকে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, এই দুর্ঘটনার পর থেকেই ট্রেনের টিকিট বাতিলের সংখ্যা বেড়েছে। যদিও এই নিয়ে আইআরসিটিসি উলটো দাবি করল। কংগ্রেসের টুইটকে রিটুইট করে আইআরসিটিসি দাবি করে, ১ জুন যেখানে টিকিট বাতিলের সংখ্যা ছিল ৭.৭ লাখ। সেখানে দুর্ঘটনার পর ৩ জুন টিকিট বাতিল হয় ৭.৫ লাখ। এদিকে দুর্ঘটনাস্থল দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল এখও স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে আজও ২১টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিতে। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের বাহানগা স্টেশন দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল আরও প্রায় আড়াই ঘণ্টা আগে। তবে এই ট্রেনটি দেরিতে চলছিল। যদি এই ট্রেনটা সময় মতো চলত, তাহলে এই দুর্ঘটনা এতটাও মর্মান্তিক হত না। হয়ত এত মানুষের প্রাণ যেত না।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে ১২৮৪১ আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর জেরে সেই ট্রেনের বি২, বি৩, বি৪, বি৫, বি৬, বি৭, বি৮, বি৯, এ১ এবং এ২ কোচ উলটে যায়। এছাড়া ট্রেনের ইঞ্জিন এবং বি১ কোচটি লাইন থেকে ছিটকে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসেরও বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়।

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমসকে রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খড়্গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশন অতিক্রম করার পর লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এদিকে সেই লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। এই মারাত্মক ভুলের কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এই লুপ লাইনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসটা না ঢুকলেই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। এছাড়াও প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, সিগন্যালিংয়ের গলদে এই দুর্ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রথমে মেন লাইনে ঢোকার জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে। পরে সেই সংকেত বন্ধ করা হয়। এই আবহে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এর জেরেই এই মৃত্যু মিছিল।