Panchayat Election Case in High Court: ‘পাঁচদিনে মনোনয়ন সম্ভব নয়’, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বড় পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেস হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। মোট পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। এই আবহে সেই মামলার জরুরি শুনানি হয় আজ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই বড় পর্যবেক্ষণ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিলেন। সেখানে জানানো হয়েছিল যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য মাত্র ৫ দিন মিলবে। তবে হাই কোর্টের তরফে আজ জানিয়ে দেওয়া হল, মাত্র পাঁচদিনে মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভব নয়। এই প্রক্রিয়ার জন্য মেয়াদ আরও বাড়ানো উচিত বলে পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের।

এদিকে বিজেপি এবং কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জিও জানানো হয় আদালতে। এর প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট জানায়, নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকারই। অপরদিকে পঞ্চায়েতের জন্য ৯ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন পেশ করার সময় দেওয়া হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশ করার জন্য যে সময় দেওয়া হয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। এই আবহে কমিশনকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। এদিকে কমিশনের বক্তব্য, অন্যান্যবারেও মনোনয়ন পেশের জন্য এইরকমই সময় দেওয়া হয়। অন্যদিকে, রাজ্যের বক্তব্য, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে আদালত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের তরফে বলা হয়, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোনয়নের গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। পাশাপাশি মহকুমাশাসক, জেলাশাসক বা কমিশনের অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেটা দেখতে বলা হয়েছে কমিশনকে। এছাড়া ভোটগ্রহণ থেকে গণনা প্রক্রিয়ার ওপর নজরদারি চালাতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এদিকে চুক্তিভিত্তিক কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ারদের পঞ্চায়েত ভোটে ব্যবহার করতে বারণ করেছে আদালত। অপরদিকে এই গোটা মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করেছে হাই কোর্ট। এই আবহে আগামী সোমবার কমিশন ও সরকারকে তাদের মতামত জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।