নজরদারির পথে হাঁটল বিজেপি, মথুরাপুরে ওড়ানো ড্রোন বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ

রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে। তার সঙ্গে তারিখ জানিয়েছে মনোনয়নের। সুতরাং মনোনয়ন–পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে প্রত্যেকটি জেলায়। আর সেখানে অশান্তির অভিযোগ উঠে আসছে। মারধর, বাধা দেওয়া থেকে খুনের অভিযোগ পর্যন্ত সামনে এসেছে। তাই শাসক–বিরোধীর মধ্যে তরজাও তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে এবার ড্রোনের সাহায্যে নজরদারির পথে হাঁটল বিজেপি। এটা একেবারে অভিনব পদক্ষেপ। কে হামলা করছে?‌ এটা পরিষ্কার ধরা পড়বে ড্রোন চিত্রে। যদিও সেই ওড়ানো ড্রোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এটা কেউ ভাবতেও পারেননি।

এদিকে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বিজেপি–কংগ্রেস। আদালত প্রস্তাব দিয়েছে মনোনয়নের দিন বাড়ানোর জন্য। কেন্দ্রীয় বাহিনীও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন বলে মনে করে আদালত। তবে চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি। এই নজরদারির জন্য আজ, সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বিজেপি। মথুরাপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীদের আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। আর সেটা করতে গিয়েই ড্রোন ব্যবহার করেছে তারা বলে অভিযোগ।

ঠিক কী বলছে বিজেপি–তৃণমূল?‌ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি প্রদ্যুত বৈদ্য সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌বিজেপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই এইসব সমস্যা থেকে বাঁচতে বিজেপির পক্ষ থেকে এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে নজরদারি করা হয়েছিল। যদিও উড়তে থাকা ড্রোনটি পুলিশ নামিয়ে বাজেয়াপ্ত করেছে।’‌ পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। সুন্দরবনে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি বাপি হালদার বলেন, ‘ওরা ইডি–সিবিআই থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সর্বত্র নজরদারি করে। এখন নির্বাচন কমিশনের কাজেও নজরদারি করছে। ওদের কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশিত।’

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ সকাল থেকেই চলছে। পুলিশ সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে চেষ্টা করছে। তবে এভাবে ড্রোন ওড়ানো যায় না। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি কোনও রাজনৈতিক দল করতে পারে না। ওই ড্রোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যথেষ্ট পুলিশ দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা করার সুযোগ করা হচ্ছে। সেখানে এমন ঘটনা সত্যিই বেমানান। পুলিশ তো সবার অভিযোগই শুনছে এবং তদন্ত করে দোষীকে ধরছে। সেখানে মথুরাপুরে ড্রোন ওড়ানোয় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ভয় পেয়ে গিয়েছে।