সিভিক ভলান্টিয়ার বা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের ভোটের কাজে ব্যবহার না করতে পরামর্শ দিল আদালত। সোমবার পঞ্চায়েত মামলার দ্বিতীয় দফার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বিবেচনা করতে বলেছেন।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত একাধিক জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল। সেই মামলাতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা চাই কোনও চুক্তিভিত্তিক কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও ভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেন অংশ না নেয়। এই নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে তাঁদের বাদ রাখা হোক। কমিশন বিষয়টি বিবেচনা করে দেখুক।’
এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি কমিশনকে আরও বলেন,’আমরা সচেতন শুধু কমিশন যাতে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন করতে পারে। আপনাদের তো প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে। আধাসেনা রাজ্য পুলিশকে সহায়তা করতে পারে। কমিশন এই নিয়ে বিবেচনা করবে।’
নিরাপত্তা প্রশ্নে আদালতে রাজ্য পুলিশের উপরই আস্থা প্রকাশ করে কমিশন। তখন বিচারপতি জানতে চান, ‘ভোটের কাজে রাজ্যের সব পুলিশ চলে গেলে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কী ভাবে হবে?
(পড়তে পারেন। টানা ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় চলল সওয়াল জবাব, পঞ্চায়েত ভোট মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল হাইকোর্ট)
এ প্রসঙ্গে গত পুরভোটের কথা জানিয়ে কমিশনের আইনজীবী বলেন,’ গত পুরভোটে আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনা করতে বলেছিল। বাহিনী নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্ট স্বাধীনতা দিয়েছিল কমিশনকে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আদালত এও বলেছিল কিছু হলে কমিশন দায়ি থাকবে। তখন কি অশান্তি হয়নি?’
ভোটকর্মীর ঘাটতি মেটাতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী?
আদালতে কমিশন জানায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করা হবে না। তবে ভোটকর্মীর ঘাটতি মেটাতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী, এনসিসি সদস্য ও সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হতে পারে।
এর জবাবে ভোটের কাজে কাদের নিয়োগ করা যাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় কমিশনের নিয়মবিধি খতিয়ে দেখতে বলে। কমিশনকে প্রধান বিচারপতি বলেন,’প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বুথে নিয়ে যাওয়ার জন্য এনসিসি-র ছেলেকে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু পোলিং অফিসার হিসাবে তাঁকে কি নিয়োগ করা যেতে পারে?’
সাড়ে চার ঘণ্টার শুনানির শেষে এ দিন রায়দান স্থগিত রাখে আদালত।