Raju Jha murder case: রাজু ঝা খুনেও সিবিআই তদন্ত দিল হাইকোর্ট, মামলার পর্যবেক্ষণে কারণও জানাল আদালত

ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের ঘটনায় কয়লাপাচারের সঙ্গে যোগ রয়েছে। তেমনটাই পর্যবেক্ষণ করে এই খুনের তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ঘটনার দিন রাজুর ঝা-র সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন আবদুল লতিফ। তাঁর নাম সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে রয়েছে। বিচারপতি মান্থা মনে করছেন, এই খুনের সঙ্গে কয়লাপাচার মামলার যোগ রয়েছে। তাই তিনি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে পুলিশ কেস ডায়েরি ও তদন্তে পাওয়া অন্যান্য নথি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেবে। তা নিয়েই তদন্ত শুরু করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিচারপতি মতে এই মামলা যদি সিবিআইয়ের হাতে না যায় তবে কয়লাপাচার মামলাও ধাক্কা খাবে।

কয়লাপাচার মামলায় রাজু ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী নরেন্দ্র খারকারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও সিজ করা হয়েছে। কয়লাপাচার মামলায় অন্যতম সাক্ষী রাজু ও নরেন্দ্র। তাঁর আইনজীবী আদালতে এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘এফআইআর-এ নাম না থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে হায়রানি করা হচ্ছে।’

এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন রাজুর স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গত ১ এপ্রিল খুন হন রাজু ঝা। অথচ সিবিআই তাঁকে কয়লা পাচার মামলায় এপ্রিলের শেষে সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, গরু ও কয়লাপাচার মামলার ভিড়ে এই খুনের তদন্ত হারিয়ে যাবে।

বিচারপতি মান্থা সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বলেন,’২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত রাজু ঝা। তাই কয়লাপাচার মামলায় চার্জশিটে তাঁর নাম না থাকলেও আদালত মনে করেছে তাঁর খুনের সঙ্গে এই মামলার যোগ রয়েছে। যেহেতু গরু ও কয়লাপাচার মামলা সিবিআই তদন্ত করছে। তাই এই খুনের মামলার তদন্ত করুক সিবিআই।’

(পড়তে পারেন। অপরূপার বিরুদ্ধে নারদ মামলায় পদক্ষেপ, সিবিআইকে চার মাস সময় কলকাতা হাইকোর্টের)

প্রসঙ্গত, রাজু ঝা খুনের তদন্তে সিট গঠন করে রাজ্য। রাজ্যের বক্তব্য, এই খুনের তদন্ত প্রায় কিনারে এসে পৌঁছেছে। এই সময় তা হস্তান্তর করা হলে ধাক্কা খাবে তদন্ত। সিবিআই এই তদন্ত হাতে নিতে প্রস্তুত বলে আদালতে জানিয়ে দেন অ্যাসিসটেন্ট সলিসিটার জেনারেল। সব শুনে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।

গত ১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে রাস্তার উপর খুন হন রাজু ঝা। গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা গুলি করে তাঁকে ঝাঁঝরা করে দেয়। সেই সময় গাড়িতে ছিলেন আবদুল লতিফ।