Child with 4 arms & legs born: বিহারে জন্ম হল চতুর্ভুজার, বিরল ঘটনায় স্তম্ভিত চিকিৎসকরা

বিহারের ছাপড়ায় চারটি হাত ও পা নিয়ে জন্ম নেয় এক শিশু কন্যা। সেই শিশুর দু’টি হৃৎপিণ্ডও আছে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় স্তম্ভিত সেখানকার চিকিৎসকরা। এদিকে এই বিরল ঘটনা দেখতে ছাপড়ার হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। অনেকেই এই শিশুকে দৈব আশীর্বাদ বলে আখ্যা দেন। আবার অনেকেই এটাকে বিরল শারীরিক অক্ষমতা বলে আখ্যা দেন। তবে মোটের ওপর এই শিশুকন্যাকে নিয়ে ছাপড়া জুড়ে কৌতুহলের অন্ত নেই। তবে শিশুটি জন্মের কিছু পরেই মারা যায় বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, গর্ভবতী অবস্থায় ছাপড়ার শ্যামচকে অবস্থিত সঞ্জীবনী নার্সিং হোমে ভরতি করা হয়েছিল প্রিয়া দেবীকে। সেখানেই এই শিশু কন্যার জন্ম দিয়েছিলেন প্রিয়া। তবে শিশুর চারটি করে হাত এবং চারটি করে পা দেখে হতবাক হয়ে যান চিকিৎসকরা। দেখা যায়, শিশুটির হৃৎপিণ্ডও দু’টি সেই শিশুর ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শিশুটিকে দেখতে ছাপড়ার হাসপাতালে ভিড় জমান অনেকে। হাসপাতলের অন্যান্য কর্মী এবং চিকিৎসকরাও শিশু বিভাগে ভিড় জমান। খবর পৌঁছে যায় সেই হাসপাতলে ভরতি রোগীদের কাছেও। তারাও সেই শিশুকে একবার দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন শিশু বিভাগে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ধনের ঘটনা খুবই বিরল। কখনও কখনও জরায়ুর মধ্যে একটি ডিম থেকেই দুটি শিশুর বিকাশ হলে এমনটা ঘটতে পারে। সময় মতো জমজ শিশুকে আলাদা না করতে পারলে তাদের মৃত্যু অনিবার্য।

পরে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ অনিল কুমার সেই শিশুকন্যার সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেন। তিনি জানান, শিশুটির একটি মাথা, চারটি কান, চারটি পা এবং চারটি হাত ছিল। পাশাপাশি সেই শিশুর দুটি মেরুদণ্ড ছিল। বুকের বাঁদিকে দু’টি হৃৎপিণ্ডও ছিল শিশুটির। জানা যায়, সেই নবজাতকের প্রসবের জন্য একটি অপারেশন করা হয়েছিল। জন্মের পর বেশ কিছুক্ষণ জীবিত ছিল শিশুটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রায় ২০ মিনিট পরে সে মারা যায়। জানা গিয়েছে, প্রিয়া দেবী প্রথমবার মা হয়েছিলেন। এদিকে প্রত্যাশিত সময়সীমার মধ্যে প্রসব না হওয়ায় তিনি শারীরিক অস্বস্তিতে ভুগছিলেন। পরে হাসপাতালে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার পরে চিকিৎসকরা অপারেশনের কথা বলেন। পরে অপারেশন করে প্রিয়া দেবীর পেট থেকে শিশুকন্যাটিকে বের করে আনা হয়। তবে তার মৃত্যু হয় জন্মের কিছুক্ষণ পরই। যদিও প্রিয়া দেবী এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।