North bengal Rain update: তিস্তায় হলুদ সংকেত, তিনদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, ভোটপর্বে ভাসতে পারে উত্তরবঙ্গ

প্রতিবার বর্ষা এলেই উত্তরবঙ্গে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের রাতের ঘুম চলে যায়। এবারও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল বৃষ্টি। একদিকে পঞ্চায়েত ভোটপর্বের টানটান উত্তেজনা। অন্যদিকে নদীর জলবৃদ্ধির আতঙ্কে ভুগছেন উত্তরের একাধিক জেলার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই তিস্তা, জলঢাকা সহ একাধিক নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে।

এদিকে ভুটান পাহাড়ে ও সিকিমে টানা বৃষ্টি হলে তার প্রভাব পড়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। তার সঙ্গে উত্তরের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। জলপাইগুড়ি ফ্লাড কন্ট্রোল জানিয়েছে, তিস্তায়(১৮.০৬.২৩) তারিখে অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি হয়েছিল। দোমহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তার অংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছিল। জলঢাকার এনএইচ ৩১ অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছিল।

অন্যদিকে জলপাইগুড়ির ফ্লাড কন্ট্রোল বিভাগ সূত্রে খবর, আগামী তিনদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরের একাধিক জেলায়।

সব মিলিয়ে রবিবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতে অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত জলপাইগুড়ি এবং ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের পরিমান, সেভক- ১৮১.৮ মিলিমিটার, জলপাইগুড়ি- ৬২.৬, আলিপুরদুয়ার -১৪০.২, কোচবিহার- ৫৫.৪, ধুপগুড়ি – ৬৪.৮, বাগরাকোট-১৪৫.৮, বক্সা-৯৬.২, কুমারগ্রাম-১৫৮.২, নাগরাকাটা- ২০৬.০, ডায়না- ১৯৯.০, বারোবিশা- ১৭৪.০ এবং ফালাকাটায় ৯৮.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ফ্লাড কন্ট্রোল দফতর সূত্রে খবর, এই বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। অন্য়দিকে ভুটান পাহাড়ে টানা বৃষ্টি হলে উত্তরের নদীগুলিতেও জল বাড়তে পারে। এর জেরে নদী তিরবর্তী এলাকার নীচু জায়গায় জল ঢুকে যেতে পারে। এদিকে এনিয়ে জেলা প্রশাসনও সতর্ক রয়েছে।

ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। স্পিড বোট, ডুবুরি , দুর্যোগ ব্যবস্থাপন দফতরের কর্মীদের তৈরি রাখা হয়েছে। কোনওভাবেই যাতে বড় অঘটন ঘটে না যায় সেকারণে তৈরি রাখা হয়েছে যাবতীয় আপৎকালীন ব্যবস্থাকে।

তবে তার মধ্য়েই ভোটপর্ব জেলায় জেলায়। টান টান উত্তেজনা। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্য়ে হিংসার ঘটনাও চলছে পুরোদমে। এসবের মধ্যেই বর্ষায় প্রচার মার খেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। অন্য়দিকে ভোট এলেই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়তে থাকে। রাজনৈতিক জমি দখলের জন্য লড়াই। এর জেরে কোনও গ্রাম ভাসলে দুর্গতরা কতটা সহায়তা পাবেন তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে এবার ভোটপর্বে ভাসতে পারে উত্তরবঙ্গ। এমনটাই মনে করছেন অনেকেই। তবে সেজন্য় তৈরি রয়েছে প্রশাসন।