‘‌এটা আসল চোট না রাজনৈতিক বোঝা যাচ্ছে না’‌, মমতাকে খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়েছিল। আর তার জন্য জরুরি অবতরণ করা হয়। এই ঘটনায় কোমরে এবং পায়ে মারাত্মক চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপর তাঁকে আসতে হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর রাতে বাড়ি ফেরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোঁজখবর নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকী আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ।

এদিকে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি থেকে বাগডোগরা ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের উপর মাঝআকাশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পাইলট সেভক সেনাঘাঁটিতে জরুরি অবতরণ করেন। তবে এই ঘটনার জেরে তাঁর বাম পা এবং কোমরে চোট লাগে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর এই পায়েই জোর আঘাত লেগেছিল। এবার একই জায়গায় আঘাত লাগায় তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানে দিলীপ ঘোষ সৌজন্য দেখানোর পরিবর্তে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‌এটা আসল চোট না রাজনৈতিক চোট বোঝা যাচ্ছে না।’‌

ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?‌ আজ, বুধবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সেখানেই এই চোট নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। তখন মেদিনীপুরের সাংসদ খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‌চোট পেয়েছেন দ্রুত সুস্থ হোন। এই কামনা করি। কিন্তু এই চোট লাগল কী করে? আসল চোট নাকি রাজনৈতিক চোট? বুঝতে পারছি না। বারবার ভোটের আগেই কীভাবে চোট পান। যে সেনাকে দিনরাত গালিগালাজ করেন, সেই সেনার হেলিপ্যাডেই নামতে হল।’‌ দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর চোট নিয়ে রসিকতা করে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যা সৌজন্যের রাজনীতি নয়।

আরও পড়ুন:‌ শান্তিনিকেতনের বাড়িতে পা রাখলেন অমর্ত্য সেন, কালঘাম ছুটল বন দফতরের

পাল্টা কী বললেন তৃণমূল নেতা?‌ সেনাঘাঁটিতে হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। সেনাকর্তারাই তাঁকে এসকর্ট করে নিয়ে যান আলাদা ঘরে। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে সড়কপথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। তখনই যন্ত্রণা অনুভব করেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত কলকাতায় আনা হয় তাঁকে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এসএসকেএম হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পালটা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‌রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও কারও আঘাত নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করি না। কিন্তু দিলীপ ঘোষ শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। এটাই ওনার স্বভাব।’‌