বাঘাযতীনে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে TMC কাউন্সিলরের বাধার মুখে পুরকর্মীরা

শহরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বহুবার সরব হয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বেআইনি নির্মাণ বন্ধে কলকাতা পুরসভার তরফে একাধিক নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মেয়র। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ নির্মাণ অব্যহত রয়েছে। আর এবার বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। বাঘাযতীনে পুরসভার কর্মী এবং পুলিশ একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সীমা ঘোষের বাধার মুখে পড়েন।

আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ মেয়র, পুর ইঞ্জিনিয়ারদের ঘাড়ে চাপালেন দোষ

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাঘাযতীনের চিত্তরঞ্জন কলোনিতে একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে যান পুরসভার ডেমোলিশন স্কোয়াডের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল যাদবপুর থানার পুলিশ। মূলত অভিযোগ, ওই নির্মাণটি দুতলা করার প্ল্যান থাকলেও তা বাড়িয়ে তিনতলা করা হয়েছে। সেই অংশ ভেঙে ফেলার জন্য সেখানে উপস্থিত হন পুরসভার কর্মীরা। এদিকে, বাড়ি ভাঙার খবর পেয়ে দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন কাউন্সিলর সীমা ঘোষ। তিনি পুলিশের উপস্থিতিতেই পুরসভার কর্মীদের কাজ বন্ধ করতে বলেন। কাউন্সিলরের বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত কাজ বন্ধ করতে বাধ্য কর্মীদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রোমোটার এখন বাইরে ঘুরতে গিয়েছে। তাঁকে আড়াল করার জন্যই কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেন। যদিও কাউন্সিলরের দাবি, এই নির্মাণের দায়িত্বে কোন প্রোমোটার নেই। যার জায়গা তিনি নিজেই সেখানে বাড়ি বানাচ্ছেন। তিনি একজন মধ্যবিত্ত। এর সঙ্গে প্রোমোটারির কোনও যোগ নেই। তিনি এনিয়ে বিল্ডিং বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানান।

প্রসঙ্গত, টক টু মেয়রে ফিরহাদ বহুবার বলেছেন কোনওভাবেই বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না। তারপরে এদিনের ঘটনায় কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, মেয়ের এক কথা বলছেন অথচ দলের কাউন্সিলায় তাঁর কথা শুনছেন না। আসলে এটা স্পষ্ট যে পুরসভা থেকে সরকার সবকিছুই চলে কাটমানিতেম তাই প্রোমোটারের হয়ে পথে নামছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। যদিও ওই কাউন্সিলরের পুরোপুরি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কাউন্সিলর ওই বহুতলকে বেআইনি নির্মাণ নয় বলেই দাবি করেছেন।

অন্যদিকে, পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আপাতত কাউন্সিলরের বাধার মুখে নির্মাণটি ভাঙা না হলেও পরবর্তীতে এ নিয়ে আলোচনা করবে পুরকর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আর তারা পিছু হটবে না।