UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ সংক্রান্ত তালিকা থেকে বের হল ভারত, রয়ে গেল পাকিস্তান

প্রকাশিত হল রাষ্ট্রসংঘের বার্ষিক ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ সংক্রান্ত রিপোর্ট। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের এই রিপোর্টে থাকা দেশগুলির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ভারতকে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়েতেরেস জানিয়েছেন বহু দিন ধরেই ভারত এই পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেছেন, শিশুদের নিরাপত্তা দিতে ভারত সরকার অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। আর সেই নিরিখেই তালিকা থেকে বাদ ভারত, তবে রয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।

২০১০ সালে ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ সংক্রান্ত রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের রিপোর্টে ছিল ভারত। এছাড়াও তালিকায় ছিল পাকিস্তান, ক্যামেরন, নাইজেরিয়া, ফিলিপিন্স সমেত বহু দেশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে, বলে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এমন বহু শিশুকে পাকড়াও করেছিল। এদিকে, গত বছরই রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব জানিয়েছিলেন যে, যেভাবে ভারত সশস্ত্র সংঘাত থেকে শিশুদের নিরাপত্তা দিচ্ছে, তাতে সম্ভবত এই তালিকা থেকে দেশ বেরিয়ে আসতে পারে। এক্ষেত্রে মহাসচিবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে বক্তব্য রাখে রাষ্ট্রসংঘ। ২০২৩ সালে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের সময় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘ শিশুদের সুরক্ষার জন্য ভারত সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালে রিপোর্ট থেকে ভারতকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি ওয়ার্কশপ হয়। সেটি কেন্দ্রীয় সরকার ও রাষ্ট্রসংঘ আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিরা। ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ে কোথায় খামতি থেকে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। এই বিষয়ে মাহসচিবের প্রতিনিধিরা বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে অংশ নেন।

রিপোর্টে গুয়েতেরেস লিখছেন, তাঁর বিশেষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মহাসচিবের আলোচনার পর এই সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আর কী কী পদক্ষেপ করতে হবে,তা জানানো হয়েছে ভারতকে। তারপরই আসে এই রিপোর্ট। যে সমস্ত দিকের কথা শুধরে নিতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল কোনও ভাবেই সশস্ত্র বাহিনীতে যেন শিশুরা অংশ না নেয়। প্রাণঘাতী কোনও কাজে শিশুদেপ অংশগ্রহণ চলবে না, সেক্ষেত্রে পেলেট গান যেন কোনও শিশুর হাতে না ওঠে। এছাড়াও যদি কোনও অপরাধে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতের পরিস্থিতিতে আটক করতে হয়, তা যেন সর্বশেষ চেষ্টা স্বরূপ পদক্ষেপ হয়। এছাড়াও আটক করা শিশুদের ওপর খারাপ ব্যবহার চলবে না। ভারতীয় আইনে ‘জুভেনাইল জাস্টিস’ সংক্রান্ত আইন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার বার্তাও দিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘ।