রাজ্য জয়েন্টে প্রথমবার ‘‌মক অ্যালটমেন্ট’‌ শুরু হচ্ছে, জানিয়ে দিলেন চেয়ারম্যান

পড়ুয়ারা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কোর্স পছন্দ করতেই পারেন। কিন্তু সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন কিনা বা কতটা সম্ভাবনা এবার তা জানতে পেরে যাবেন। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত পড়ুয়ারা অংশ নেবেন তাঁরা নিজেদের পছন্দ চূড়ান্ত করার আগেই জানতে পেরে যাবেন পুরো পরিস্থিতি। তাতে তাঁরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবকিছু না পেলে আর একটি জায়গায় চেষ্টা করতে পারবেন। এই কাজটি যাতে পড়ুয়ারা করতে পারেন তার জন্য ২০২৩ সালেই প্রথম চালু হচ্ছে ‘মক–অ্যালটমেন্ট’।

ঠিক কী বলছেন রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান?‌ ইতিমধ্যেই অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রফেশনাল অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউশনস–এর পক্ষ থেকে আয়োজিত তিনদিন ধরে ‘প্রি–কাউন্সেলিং ফেয়ার’ অনুষ্ঠান করা হয়। যার উদ্বোধনের মঞ্চে এসেছিলেন রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‌এবার চয়েস ফিলিং ও চয়েস লকিং করার মাঝে একটা সময় দেব। তখন ছাত্রছাত্রীরা একটা ‘মক–অ্যালটমেন্ট’ দেখতে পারবেন। তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী, আসন সংখ্যার ভিত্তিতে পড়ুয়াদের আসন কোথায় বরাদ্দ হচ্ছে সেটার একটা মহড়া দেখাতে পারব। তাতে পড়ুয়ারা এক জায়গায় যদি পছন্দের সব না পান তাহলে তাঁরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে চয়েস লক করতে পারবেন।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আগামী ১১ জুলাই জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সের দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং শেষ হবে। তার পর কাউন্সেলিং শুরু হয়ে যাবে। তাই কাউন্সেলিংয়ের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সিট ম্যাট্রিক্স পেলেই বোর্ড কাউন্সেলিং শুরু করতে পারবে। আর এই বছরই প্রথম কাউন্সেলিংয়ের শেষ দফার আগে নতুন করে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেওয়া হবে। এতে অন্য জায়গায় চলে যাওয়াটা আটকানো যাবে। আর পড়ুয়ারা পছন্দের প্রতিষ্ঠান এবং বিষয় পেলে তাতে তাঁরা মনযোগী হবেন। পড়াশোনার জন্য এই পথ আলাদা মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ খাস কলকাতায় সিটি স্ক্যান করতে এসে মৃত্যু মহিলার, তদন্ত শুরু করল পুলিশ

ঠিক কে, কি বলছেন?‌ এই বিষয়টি শুনে অত্যন্ত খুশি কলকাতার মেয়র। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাঙালির মেধাকে নিয়ে গিয়ে আমেরিকা-লন্ডন আজ প্রযুক্তিতে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। ওদের সাফল্যের পিছনে বাঙালির মস্তিষ্ক রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ হয়েছে। তাছাড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক নতুন দরজা খুলে গিয়েছে।’ এই অনুষ্ঠানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।