Sayani Ghosh: কুন্তলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কতটা ঘনিষ্ঠ? সায়নীর কাছে জানতে চাইল ইডি

দু’দিন অন্তর্ধানের পর শুক্রবার ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। আর সেখানে পৌঁছে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তদন্তকারীদের ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করবেন। জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম ২ ঘণ্টা পর ইডি সূত্রে খবর, জেরায় পুরোপুরি সহযোগিতা করছেন যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী। এমনকী কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগর কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।

শুক্রবার বেলা ১১.৩০ মিনিট থেকে সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। ইডি দফতরে তাঁকে ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। ফলে ফোন রেখেই সেখানে ঢোকেন তিনি। এর পর ইডির গোয়েন্দারা তাঁকে একটি ফর্ম দেন। তাতে সায়নীর ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, প্যান ইত্যাদি লিখতে বলা হয়। সেই পর্ব শেষ হলে তাঁকে জেরা শুরু করেন গোয়েন্দারা।

ইডি সূত্রে খবর, সায়নীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কী ভাবে? জবাবে সায়নী জানান, কুন্তল ও তিনি দু’জনেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। একজন রাজনৈতিক নেতা আরেকজনকে যে ভাবে চেনেন তিনিও ঠিক সেভাবেই কুন্তলকে চেনেন তিনি। যদিও ইডি সূত্রে খবর, গোয়েন্দাদের কাছে কুন্তল ও সায়নীর এমন কিছু ছবি ও ভিডিয়ো রয়েছে যা রাজনৈতিক পরিসরের বাইরে তোলা।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন সায়নী। তাঁকে যে প্রশ্নমালা দেওয়া হয়েছে তার জবাব নিজে হাতে লিখে দিচ্ছেন তিনি।

গোয়েন্দাদের দাবি, সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের একাধিক লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন তাঁরা। এমনকী জেরায় সায়নীর নাম বলেছেন কুন্তল। সায়নীকে একটি গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন কুন্তল। তার একটি সম্পত্তির লেনদেনেও সায়নী জড়িত বলে জানা গিয়েছে। এমনকী দক্ষিণ কলকাতায় সায়নীর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও কুন্তলের কল্যাণেই বলে প্রমাণ রয়েছে ইডির হাতে। জানা গিয়েছে, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হিস্ট্রি দেখিয়ে জেরা করা হতে পারে সায়নীকে।