Pakistan stock market: শেষলগ্নে পাকিস্তানের প্রাণ বাঁচতে ১৫ বছরে সর্বোচ্চ দৈনিক উত্থান হল শেয়ার বাজারের

আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএ) চুক্তিতে সবুজ সংকেত পড়তেই উত্থান হল পাকিস্তানের শেয়ার বাজারের সূচকের। সোমবার বাজার খোলার পর পাকিস্তানের শেয়ার বাজারের সূচকের ৫.৯ শতাংশ উত্থান হয়েছে। যা গত ১৫ বছরে সর্বোচ্চ দৈনিক উত্থান। ২০০৮ সালের পর থেকে একদিনে কখনও পাকিস্তানের শেয়ার বাজারের সূচকের এতটা চড়েনি। ২০০৮ সালের ২৪ জুন ৮.৯ শতাংশ চড়েছিল পাকিস্তানের শেয়ার বাজারের সূচক। রেফিনিট ডেটার তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জাননো হয়েছে, সোমবার বাজার বন্ধের সময় করাচি স্টক এক্সচেঞ্জের (কেএসিই) সূচক ৪৩,৮৯৪.৭ ঠেকেছে। বেড়েছে ২,৪৪২.০৬ পয়েন্ট।

আরও পড়ুন: Pakistan clinches IMF bailout: ডুবে যাওয়ার আগে বেঁচে গেল পাকিস্তান! IMF-র টাকা পেয়ে বলল ‘এটাই যেন শেষ ঋণ হয়’

টপলাইন সিকিউরিটিজের তরফে দাবি করা হয়েছে, সোমবার যে প্রায় ২,৫০০ পয়েন্টের উত্থান হয়েছে, সেটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টুইটারে টপলাইন সিকিউরিটিজের তরফে টুইটারে বলা হয়েছে, ‘আজ কেএসই১০০ সূচকের যে উত্থান হয়েছে, সেটা পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের ইতিহাসে সর্বোচ্চ হতে চলেছে।’ তারইমধ্যে এক মার্কিন ডলারের নিরিখে পাকিস্তানি মুদ্রার দাম ঠেকেছে ২৮৬ রুপিতে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শেয়ারের মধ্যে গাড়ি নির্মাতাদের শেয়ার ছয় শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশ বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের আশা, আইএমএফের থেকে অনুদান পাওয়ার পর রফতানির ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা তুলে নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: PUBG খেলতে গিয়ে প্রেম! পাকিস্তান থেকে ৪ সন্তান নিয়ে ভারতে অবৈধ পথে হাজির মহিলা, শেষমেশ গ্রেফতারি

গত শুক্রবার আইএমএফের থেকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য পেয়েছে পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে অর্থ না পেলে পাকিস্তান পুরো ডুবে যেত। ধসে যেত পাকিস্তানের অর্থনীতি। সেই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্যের চুক্তির ফলস্বরূপ বিনিয়োগকারীদের আস্থা একধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।’

পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানান, আইএমএফ যে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, তাতে পাকিস্তানের অর্থনীতির কিছুটা খোলা শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সুযোগ নিয়েছে। পাকিস্তান যাতে আগামিদিনে লাগাতার উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য বড়-বড় শিল্পপতি এবং সমাজের তথাকথিত ধনীদের কিছুটা স্বার্থত্যাগ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা যে আর্থিক সাহায্য পেয়েছি, সেটাকে অবশ্যই সুযোগে রূপান্তরিত করতে হবে।’