Alliah University: পড়ুয়া বিক্ষোভে উত্তাল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, উপাচার্যের দাবিতে বন্ধ হল ক্যাম্পাস

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বন্ধ করে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। দফায় দফায় বিক্ষোভে সামিল পড়ুয়াদের একাংশ। তাদের দাবি, আট মাস ধরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে কেউ নেই। এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কাজকর্মে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নানা ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন পড়ুয়াদের একাংশ। তার জেরেই এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল বিক্ষোভ পড়ুয়াদের একাংশের।
এদিকে আগামী ১০ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে। ভর্তি প্রক্রিয়াও চলছে। তার মধ্য়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, উপাচার্য নেই। এর জেরে মহা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাদের দাবি উপাচার্য নিয়োগ না হলে তাদের বিক্ষোভও উঠবে না।

এদিকে পড়ুয়াদের একাংশ উপাচার্যের দাবিতে রাজ্যপালের কাছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও সমস্যা মেটেনি। আসলে অনেকের মতে, রাজ্যের অন্তত ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই বলে দাবি করা হচ্ছে। এর জেরে সমস্যা বাড়ছে পড়ুয়াদের। তবে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছবিটা আবার আরও করুণ। সেখানে কার্যত রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছেন।

কিন্তু পড়ুয়াদের একাশের দাবি, স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় পড়ুয়াদের বহু কাজ ঝুলে রয়েছে। বার বার বলা হচ্ছে উপাচার্য না থাকায় এখনই সেই সব কাজ করা সম্ভব নয়। এর জেরে ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। তার জেরেই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ বন্ধ করে দেন তারা।

তাদের দাবি আটমাস ধরে উপাচার্যের পদ ফাঁকা। সেই অজুহাত দেখিয়ে নানা কাজ আটকে যাচ্ছে। প্রজেক্ট সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। বিদেশযাত্রার নথি পেতে সমস্যা হচ্ছে। স্কলারশিপ যথাযথ পাওয়া যাচ্ছে না। এর জেরে ছাত্রছাত্রীরা পড়েছেন মহা সমস্যায়। প্রায় ৬৩ দিন ধরে তারা উপাচার্যের দাবি তুলছেন। কিন্তু তবুও দাবি মেটেনি। শেষ পর্যন্ত তারা পার্ক সার্কাসের ক্যাম্পাস বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

এদিকে তাদের বিক্ষোভের জেরে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। পঠনপাঠনও বন্ধ হয়ে যায় কলেজের।