Rail blocked in Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের বনধের প্রভাব দক্ষিণ পূর্ব রেলে, বাতিল একাধিক ট্রেন

আদিবাসীদের বনধের জেরে ব্যহত হল রেল পরিষেবা। দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর টাটা ডিভিশনে আপ ও ডাউন লাইনে রেল পরিষেবা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। এই ডিভিশনে রেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে। মূলত একাধিক দাবি দেওয়া নিয়ে ঝাড়খণ্ডে এদিন বনধের ডাক দিয়েছিলেন আদিবাসীরা। তার জেরে ঝাড়খণ্ডে রেল লাইনের ট্র্যাকে উঠে অবরোধ চালান আদিবাসীরা। তারফলে দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় রেল চলাচল ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

আরও পড়ুন: একাধিক জেলায় রেল অবরোধে নাকাল নিত্যযাত্রীরা, আদিবাসীদের এমন পদক্ষেপ কেন?‌

দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের চুরুগুন্ডা স্টেশনের কাছে বিক্ষোভ করেন অধিবাসীরা। তাঁরা রেলের ট্র্যাকে উঠে পড়ে অবরোধ করেন। যার জেরে সকাল থেকে একাধিক ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। অবরোধকারীদের সরাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জিআরপি এবং আরপিএফ। তবে অবরোধ চলাকালীন হাওড়া থেকে ছেড়ে দেওয়া ইস্পাত এক্সপ্রেস ঘাটশিলায় আটকে পড়ে। এছাড়া, হাওড়া–মুম্বই দুরন্ত এক্সপ্রেস খড়গপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে।

এদিনের অবরোধের জেরে বেশকিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১২০২২ বারবিল– হাওড়া জংশন শতাব্দী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়। এছাড়া বাতিল হয়েছে ০৮০৭১ এবং ০৮০৭২ খড়গপুর–টাটানগর অ্যাপ ও ডাউন প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ট্রেন। অবরোধের ফলে একাধিক ট্রেনের গতিপথ কমিয়ে দেওয়া হয়। যার মধ্যে ১২০২১ হাওড়া–বারবিল জংশন শতাব্দী এক্সপ্রেসের গতিপথ কমিয়ে খড়গপুর পর্যন্ত করা হয়। অন্যদিকে, ১৮০৩৩ হাওড়া–ঘাটশিলা মেমো এক্সপ্রেসের গতিপথ কমিয়ে খড়গপুর পর্যন্ত করা হয়। একইভাবে ঘাটশিলা–হাওড়া এক্সপ্রেসের গতিপথও খড়গপুর পর্যন্ত করা হয়।

আবার যাত্রীদের সুবিধার্থে একাধিক ট্রেন ঘুরতি পথে চালানো হয়। যার মধ্যে ১৫০২২ গোরখপুর–শালিমার এক্সপ্রেস চান্দিল– আদ্রা– মেদিনীপুর হয়ে চালানো হয়। ২২৯০৫ ওখা–শালিমার এক্সপ্রেসও একই রুটে চালানো হয়। এছাড়া, ১২২৬২ হাওড়া–মুম্বাই দুরন্ত এক্সপ্রেস মেদিনীপুর– আদ্রা– চান্দিল– টাটানগর হয়ে চালানো হয়। সব মিলিয়ে আদিবাসীদের বনধের জেরে ব্যাপকভাবে রেল পরিষেবা ব্যহত হয়েছে। বহু ট্রেন চিত্রগুড়া স্টেশনে আটকে পড়েছে। এদিনের ঘটনা অনেকের মনেই কুড়মি আন্দোলনের জেরে ট্রেন পরিষেবা ব্যহত হওয়ার স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।