দেশে যে বর্তমান সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে, তা ধাপে ধাপে তুলে নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলাকে খুবই নগন্য বলে আখ্যা দিয়ে মামলা দায়েরের জন্য পিটিশনারের উপর ২৫ হাজার টাকার অর্থমূল্য ধার্য করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশে সংরক্ষণ নিয়ে যে বন্দোবস্ত রয়েছে তাকে ধাপে ধাপে সরিয়ে দিয়ে একটি বিকল্প পদ্ধতি লাগু করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিংহের বেঞ্চে ওঠে মামলা। তাঁরা মামলা খারিজ করার পাশাপাশি পিটিশনারের উপর ২৫০০০ টাকার জরিমানা ধার্য করেন। কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘এই জনস্বার্থ মামলা আদালতের প্রক্রিয়ার অপব্যবহার। আমরা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের কল্যাণ তহবিলে ২৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদানের নির্দেশ দিচ্ছি। অর্থ প্রদান কররা রসিদ ২ সপ্তাহের মধ্যে পৌঁছতে হবে।’ এছাড়াও একই বেঞ্চ, সমাজে বর্ণ ব্যবস্থার পুনর্শ্রেণীকরণের জন্য একই আবেদনকারীর দায়ের করা আরেকটি পিআইএল পিটিশনও খারিজ করে দিয়েছে। এদিকে, সমাদজে ফের শ্রেণিকরণ নিয়ে মামলাটিও সরাসরি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা রোখার জন্যও কড়া বার্তা দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এই মামলায় আবেদনকারীকে ১ লাখ টাকা ধার্য করা হয়।
(আরও পড়ুন- PUBG খেলতে গিয়ে প্রেম! পাকিস্তান থেকে ৪ সন্তান নিয়ে ভারতে অবৈধ পথে হাজির মহিলা, শেষমেশ গ্রেফতারি)
( SC on Suicide of Married Men: ‘এক তরফা ছবি’, বিবাহিত পুরুষদের ঘরোয়া বিবাদে আত্মহত্যা সংক্রান্ত মামলায় এল সুপ্রিম বার্তা)
উল্লেখ্য, সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক মামলা এযাবৎকালে দেশে উঠে এসেছে নানান কোর্টে। সদ্য মহারাষ্ট্রে বম্বে হাইকোর্টে একটি মামলা ওঠে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সংরক্ষণ দেওয়ার দাবিতে। সেই আর্জি নিয়ে মামলা বম্বে হাইকোর্টে যেতেই রাজ্য সরকারের তরফে আসে বার্তা। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে তারা সমলিঙ্গের জন্য আলাদা সংরক্ষণ দিতে পারবে না। বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নীতীন জামদার ও বিচারপতি সন্দীপ মারানের বেঞ্চে ওঠে মামলা। রাজ্য সরকার জানায়, তৃতীয় লিঙ্গের জন্য সংরক্ষণ দেওয়া হলে তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিত তৃতীয় লিঙ্গ বিষয়ক নিয়মকে ভঙ্গ করবে।