Xi Jinping in SCO Meet: একতরফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা, নাম না করে মোদীকে বার্তা জিনপিংয়ের?

লাদাখে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষের তিনবছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটেনি। চিন যদিও বারবার এটাই দাবি করে, সবকিছুই স্বাভাবিক আছে। তবে ভারতের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, যতদিন না সীমান্ত সমস্যা মিটবে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে না। এরই মধ্যে আবার জাতীয় সুরক্ষার ইস্যুতে ভারত একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে এই দেশে। আবার বহু চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থার কর ফাঁকির ইস্যুতে কোমর কষেছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। এই আবহে আজ এসসিও বৈঠকে মোদীর উপস্থিতিতে ‘মুক্ত বাণিজ্য’ নিয়ে মুখ খুললেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অর্থাৎ, সীমান্তে তারা নিজেদের ইচ্ছে মতো আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে যাবে, তবে বাণিজ্য ক্ষেত্রে তাদেরকে ভারতের বিশাল বাজারে অবাধ যাতায়তের সুযোগ করে দিতে হবে।

আজ শি জিনপিং এসসিও সদস্য দেশগুলির প্রতি আহ্বান করেন যাতে তারা সবাই ‘প্রোটেকশনিজম’-কে প্রত্যাখ্যান করে। অর্থৎ, নিজের দেশের বাণিজ্য রক্ষার্থে অন্য দেশের ব্যবসার ওপর বেশি কর চাপানো বা সেটিকে নিষিদ্ধ করা। পাশাপাশি শি জিনপিং বলেন, ‘চিন বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সঠিক পথে এগিয়ে যাবে এবং একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধ করবে। জাতীয় সুরক্ষার পরিসর বৃদ্ধি করে বাণিজ্যকে প্রভাবিত করারও বিরোধিতা করবে চিন।’ এদিকে শি জিনপিং বলেন, ‘বহিরাগত শক্তি যেন এই অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলায়।’ এদিকে পারস্পরিক স্বার্থ এবং উদ্বেগকে সম্মান করার জন্য সমস্ত সদস্য দেশের কাছে আবেদন করেন তিনি। জিনপিং যোগ করেন, সব দেশেরই কেবলমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত মতবিরোধ সমাধান করা উচিত।

এদিকে আজকের সভায় নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আমরা এসসিওকে একটি বর্ধিত প্রতিবেশী হিসেবে দেখি না, বরং একটি বর্ধিত পরিবার হিসেবে দেখি। নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সংযোগ, ঐক্য, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো ইস্যুগুলিকে এসসিওর স্তম্ভ হিসেবে দেখি।’ তিনি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটিও তুলে ধরেন। নাম না করে পাকিস্তান ও চিনকে খোঁচা দিয়ে মোদী বলেন, ‘যে দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, এসসিও যেন তাদের সমালোচনা করতে দ্বিধায় না পড়ে। সন্ত্রাসবাদ আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মোকাবিলা করার জন্য কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।’