জ্বালানির চাহিদা মেটাবে ইথানল, নীল নকশা ঠিক করে ফেলেছে কেন্দ্র

আরও একবার ইথানল-পেট্রোল মিশ্রণ উৎপাদন ও ব্যবহারে গুরুত্ব দিলেন পীযুষ গোয়েল।  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ইথানল মিশ্রণ সম্ভাবনা ব্যক্ত করে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। ‘২০২১-২০২২ বর্ষের মধ্যে ১০ শতাংশ ইথানল মিশ্রন অর্জনের লক্ষ্য পূরণ করে, ১০.২ শতাংশ ইথানল পেট্রোলের সাথে মিশ্রিত করা সম্ভব হয়েছিল’ ভিডিয়োতে উল্লেখ করেন তিনি৷ সরকারের ইথানল মিশ্রণ কর্মসূচী ভারতকে এনার্জি ক্ষেত্রে স্বনির্ভর করে তুলছে এবং নিরাপত্তাও নিশ্চিত করছে জানান তিনি।

আজ ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রনালয়, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগ রাজধানী দিল্লিতে ‘খাদ্যমন্ত্রীদের জাতীয় সম্মেলন’ আয়োজিত হয়েছিল। এই সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল খরিফ বিপণন মরসুম (KMS) ২০২৩-২৪ এর সময় মোটা শস্য সংগ্রহের জন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা। ।  সম্মেলনের অন্যতম একটি বিষয় ছিল পীযুষ গোয়ালের তত্ত্বাবধানে সুগার-ইথানল পোর্টাল চালু করা।  গোয়েল বলেন, ‘যেহেতু আমরা গত নয় বছরে ১.৫ শতাংশ থেকে প্রায় ১০.৫ শতাংশে মিশ্রণ বাড়িয়েছি, আমরা অবশ্যই ২০ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করব।’

ইথানল, একটি জৈব জ্বালানি, এছাড়াও ভুট্টা, কৃষির অবশিষ্টাংশ, যেমন ভুট্টা এবং ধানের ডালপালা এবং কিছু ভারী গুড় থেকে উৎপাদিত হয়। চিনি উৎপাদনের একটি উপজাত দ্রব্য ইথানলকে পেট্রোলের সাথে মিশ্রণ করে বিকল্প জ্বালানির সম্ভাবনা ঊজ্জ্বল হচ্ছে ক্রমশ। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে দেশের পেট্রোলে মাত্র ১.৫ শতাংশ ইথানল মেশাতে হত। সেই মাত্রা বিগত বছরে বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই পেট্রোলে এখন ১০ শতাংশ ইথানল মেশানো হচ্ছে। এবং ২০৩০ সালের মধ্যে পেট্রোলে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানোর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তবে তারও আগেই এই লক্ষ্য পূরণের তাগিদে ১১টি রাজ্যে এই প্রকল্প চালু হয়েছে। অমিত শাহ জানিয়ে দিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে গোটা দেশে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত জ্বালানি বিক্রির লক্ষ্যে এগোচ্ছে দেশ।