Chandrayaan 3 Latest Update: রকেটের সঙ্গে জুড়ে গেল চন্দ্রযান ৩, চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু কবে?

এই মাসেই মাসেই চাঁদে পাড়ি দিতে পারে চন্দ্রযান-৩। এই আবহে ইসরো জানাল, বুধবার লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক৩-এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে চন্দ্রযান ৩-কে। এই রকেটে করেই মহাকাশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। এরপর সেটি চাঁদে পা রাখবে। গতকাল অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে লঞ্চ রকেটের সঙ্গে চন্দ্রযান ৩-কে জুড়ে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে ইসরোর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের বাকি কাজও প্রায় শেষের পথে। (আরও পড়ুন: এবার ইচ্ছে করলেই বদলানো যবে ক্রেডিট কার্ড নেটওয়ার্ক, খসড়া সার্কুলার জারি RBI-এর)

উল্লেখ্য, চন্দ্রযান ৩-এর উৎক্ষেপণ নিয়ে মানুষের মনে আগ্রহের অন্ত নেই। এলভিএম ৩ রকেটের সাহায্যে চন্দ্রযান ৩-কে মহাকাশে পাঠানো হবে। চাঁদের কক্ষপথের ১০০ কিমির মধ্যে চন্দ্রযানকে নিয়ে যাবে এই ‘লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক ৩’। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ভারত চন্দ্রযান ১ লঞ্চ করেছিল। এরপর ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ লঞ্চ করা হয়েছিল। সেই অভিযানে ল্যান্ডারটি চাঁদে সফট ল্যান্ড করতে অক্ষম হয়েছিল। তবে মোটের ওপর সেই অভিযানের লক্ষ্য পূরণ করতে সমর্থ হয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এই আবহে এখন সবার নজর চন্দ্রযান ৩-এর লঞ্চের দিকে।

এর আগে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছিলেন, আগামী ১২ জুলাই থেকে চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের ‘উইন্ডো’ খুলে যাবে। তবে এখনও চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত দিনক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ইসরো প্রধানের কথায়, ১২ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, চন্দ্রযান ৩-এর উৎক্ষেপণ করা হবে। উৎক্ষেপণের দিন চূড়ান্ত হয়ে গেলে শীঘ্রই তা জানিয়ে দেওয়া হবে ইসরোর তরফে। এর আগে গত ২২ মে হিন্দুস্তান টাইমস এক রিপোর্টে দাবি করেছিল যে চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ করা হতে পারে ১২ জুলাই।

প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান ৩-এ একটি ল্যান্ডার মডিউল রয়েছে। এই মডিউলটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এই মহাকাশযানে একটি প্রপালশন মডিউল এবং একটি রোভারও রয়েছে। ল্যান্ডারটি চাঁদের একটি স্থানে ‘সফট ল্যান্ড’ করবে। এরপর এই ল্যান্ডারটি থেকে রোভার ছেড়ে দেওয়া হবে চাঁদের মাটিতে। জানা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে দাঁড়িয়েই রাসায়নিক পরীক্ষা চালাবে চন্দ্রযান ৩-এর রোভার। ল্যান্ডার এবং রোভারে প্রয়োজনীয় ‘পেলোড’ ভরার কাজ প্রায় শেষ। এই পেলোডগুলিকে বেঙ্গালুরুর ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখান থেকে এই ল্যান্ডার এবং রোভার পাঠানো হয় শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে।