Rajasthan Congress: গেহলটের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটাতে টোটকা বলে দিয়েছেন খাড়গে, খোলাখুলি জানালেন পাইলট

তবে কি সত্যি সত্যি রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্দরে দ্বন্দ্ব কমছে ? শচিন পাইলট শনিবার মোটামুটি এটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আপাতত তিনি শিকেয় তুলে রাখছেন। আসলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কথা মেনেই তিনি আপাতত ঐক্যবদ্ধ পথে চলতে চান।

এদিকে রাজস্থানের ভোট নিয়ে সম্প্রতি বড় মিটিং হয়েছিল। সেখানে ঐক্যবদ্ধতার উপর জোর দেওয়া হয়। আর তারপরই সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে পরের দিন মুখ খুলেছেন পাইলট। তিনি জানিয়েছেন, খাড়গে পরামর্শ দিয়েছেন ক্ষমা আর ভুলে যাওয়ার নীতিতে চলতে হবে। এটা শুধু পরামর্শ নয়, এটা নির্দেশ।

তিনি পিটিআইকে জানিয়েছেন, অশোক গেহলট আমার থেকে সিনিয়র। তাঁর অভিজ্ঞতা আমার থেকে বেশি। তাঁর উপর অনেক দায়িত্ব। আমি রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতাম। এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী, তিনিও সকলকে নিয়ে চলতে চাইছেন।

তিনি বলেন, একটু যদি পিছিয়ে যাই তবে তাতে বড় কিছু যায় আসে না। কারণ জনতা আর পার্টি কোনও ব্যক্তির থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটা বুঝি। তিনিও এটা বোঝেন। এনডিটিভির খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, পাইলট জানিয়েছেন, খাড়গে আমায় জানিয়েছেন সময় চলে যাবে। সেটা আর ফিরে আসবে না। এবার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখুন।

পাইলট জানিয়েছেন, তিনি(খাড়গে) জানিয়েছেন, ক্ষমা আর ভুলে যাওয়া, সামনের দিকে তাকানো, এটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমি এটা বিশ্বাস করি। আমাদের নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। গোটা দেশ কংগ্রেসকে চায়। আমরা রাজস্থানের মানুষের আশীর্বাদ চাই। আমাদের একসঙ্গে চলতে হবে। এটা সমস্ত মানুষের কাছে , দলের কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য।

এদিকে এবার রাজস্থানে বেশ কৌশলে চলছে কংগ্রেস। সরাসরি কোনও মুখকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে হাজির করা হবে না। এই প্রসঙ্গে পাইলট বলেন, বেনুগোপালজি যা বলেছেন তা ভুল নয়। এটা কোনও ব্যক্তির লড়াই নয়। ২০১৮ সালে আমি ছিলাম রাজ্য সভাপতি। আমরা বলিনি ক, খ, গ মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এটা ভোটের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটা কারোর ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, এটা দল আর দলীয় নেতৃত্বের ব্যাপার। আমাদের দক্ষতা বা কৃতিত্ব এটা কারোর একার কৃতিত্ব নয়। হারা বা জেতা এটা কারোর একার নয়। এটা একটা টিম ওয়ার্ক।