Suvendu Adhikari: ৩৫৫-র পরিবেশ তৈরি করতে হবে ব্যাপক গণআন্দোলনের মাধ্যমে, অবস্থান স্পষ্ট করে বললেন শুভেন্দু

ডেরেক ও’ব্রায়েনের টুইট করা তাঁর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার বিকেলে বারুইপুরে তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দুবাবু। সঙ্গে আক্রমণ করেন ডেরেক ও সাকেত গোখেলকে।

এদিন বিজেপির ঘরছাড়া কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে আমার একটি বক্তব্য নিয়ে ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাকেত গোখেলের মতো তৃণমূলের কিছু চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ঘেউ ঘেউ করেছেন। আমি তাদের পরিষ্কারভাবে বলতে চাই। ৩৫৫-র পরিবেশ করতে হবে ব্যাপক গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে মিছিল মিটিং অবরোধ প্রয়োজনে আবার নবান্ন অভিযান। প্রয়োজনে বনধ। ব্যাপক গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, দিঘা থেকে দার্জিলিং ৩৫৫-র পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আমার মন্তব্য নিয়ে চতুর্থ শ্রেণির ঘেউ ঘেউ করা কর্মচারীদের মন্তব্য করার অধিকার নেই।’

বলে রাখি, সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর একটি ভিডিয়ো টুইট করেন ডেরেক, সাকেতসহ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা। সেখানে শুভেন্দুবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘পথই পথ দেখাবে।এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে ৩৫৫ লাগবেই। এছাড়া কোনও পরিত্রাণ পশ্চিমবাংলার নেই। অনেক জিনিস করাতে হয়। কী করে করাতে হয় আমি জানি’।

এর পর টুইটে ডেরেক লেখেন, ‘বিস্ফোরক ভিডিয়ো। এখানে ফাঁস হয়ে গিয়েছে, গ্রামীণ বাংলায় এই হিংসার পেছনে কে ছিলেন। বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।’

শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করে ফিরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দমদম বিমানবন্দরে জানিয়েছেন, ৩৫৫ ধারা জারি প্রশাসনিক ব্যাপার। এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।