দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় চিকিৎসকরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে: এফডিএসআর

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে চলমান অস্থিরতা নিরসনে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেছে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর)। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ‘যে মুহূর্তে চিকিৎসকদের হাসপাতালে রোগীদের সেবা প্রদানসহ প্রশিক্ষণ গ্রহণের কথা, সেই সময়ে তাদের রাজপথে আন্দোলনে ব্যস্ত থাকাটা কারও কাছেই কাম্য নয়। আজ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বিধায় দেশের চিকিৎসকরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে।’

সোমবার (১৭ জুলাই) সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন এবং মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতাসহ সম্প্রতি নানানভাবে বাংলাদেশে চিকিৎসকদের হয়রানি করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৬ জুলাই আন্দোলনরত বেসরকারি স্নাতকোত্তর ট্রেইনি ডাক্তারদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উপর নজিরবিহীনভাবে পুলিশ আক্রমণ করেছে। কাদের হুকুমে চিকিৎসকদের ওপর হামলার মাধ্যমে সরকারকে এমন বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা তা জানতে চাই। সেই সাথে আমরা আক্রমণকারী পুলিশদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ‘সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ট্রেইনি চিকিৎসকদের নামমাত্র ভাতা প্রদানের কারণে যেখানে আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত, সেখানে আমরা পুলিশের আক্রমণাত্মক ভূমিকা দেখে প্রকৃত অর্থেই উদ্বিগ্ন হচ্ছি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মাত্র ৫ হাজার টাকা মাসিক ভাতা বাড়ানোর মতো প্রহসনমূলক ঘোষণার পরিবর্তে আমরা আশা করছি, সরকার অচিরেই এইসব ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা হিসেবে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করবে। আমাদের বিজ্ঞ নীতিনির্ধারকরা নিশ্চয়ই অনুধাবন করেন যে, মাসিক ভাতা হিসেবে মাত্র ৫০ হাজার টাকা প্রদানের মাধ্যমে যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই এদেশের মানুষদেরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। অর্থমূল্যে সরকারের এই সামান্য মাসিক ভাতার বিনিয়োগের বিনিময়ে রাষ্ট্রের প্রাপ্তি তাই অনেক বেশি।’