স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে যাতে দুর্নীতি করা না যায় তার জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্য দফতর। এই কার্ড নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এক বছরে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল–নার্সিংহোমে দশবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অনিয়ম ধরা পড়লে কার্ডটি ‘ব্লক’ হয়ে যাবে। সেটাও হবে অটোমেটিক ভাবেই।তার জেরে আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা মিলবে না। এবার সফটওয়্যারে এমনই পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্যভবনের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে খবর।
আবার যদি কোনও চিকিৎসক এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তাহলে তিনি আর স্বাস্থ্যসাথী রোগীর চিকিৎসা করতে পারবেন না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কেন এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বহু বেসরকারি নার্সিংহোম এবং হাসপাতাল এই কার্ডকে সামনে রেখে দেদার টাকা লুটে নিচ্ছে। অর্থাৎ ভুয়ো বিল তৈরি করে তা করা হচ্ছে। এমন সব অভিযোগ এসেছে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। আর যার সত্যিই চিকিৎসা প্রয়োজন তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে একটা চক্র কাজ করছে বলেও অভিযোগ।
আর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এদিকে জেলাভিত্তিক নজরদারি দলকে আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর স্বাস্থ্য দফতর নতুন একটা সফটওয়্যার তৈরি করেছে। যার মধ্যে সবটা ধরা পড়ে যাবে। এই অনিয়ম করে ধরা পড়লে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল–নার্সিংহোমে। আর এই কাজ রোখার জন্য ২০০ সরকারি চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁরা বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির অনিয়ম ধরতে পারে। এমনকী ‘এসওপি’ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। আগামী ১৮ অগস্ট ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে অনিয়ম করে সরকারের টাকা তছরুপ করা না যায়।
আর পড়ুন: মমতা–সীতারামের ছবি জায়গা পেল না পরস্পরের মুখপত্রে, তারপরও সাফল্য কি আসবে?
আর কী জানা যাচ্ছে? বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী খবর, কোনও রোগীর চিকিৎসায় বাস্তবে যা খরচ হয়েছে তা বিকৃত করে মিথ্যা হিসাব দিয়ে ধরা পড়লে চরম শাস্তি পেতে হবে। আবার দিন–তারিখ বদল করে অনিয়ম করে ধরা পড়লে মাঝারি ধরনের শাস্তি মিলবে। আর একই খরচ একাধিকবার ধরা পড়লে জেল–জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। বেসরকারি নার্সিংহোম–হাসপাতালগুলিকে তিনটি রঙে তাদের অপরাধ চিহ্নিত করা হবে। লাল— গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে এই রঙ মিলবে। হলুদ—মাঝারি ধরনের অপরাধ করলে এই রঙ দেওয়া হবে। আর সবুজ—খুব কম অনিয়মের ক্ষেত্রে এই রঙ মিলবে।