Rape Law Section 376: আজকাল মহিলারা ধর্ষণ বিরোধী আইনকে অস্ত্র হিসাবে অপব্যবহার করছেন: হাইকোর্ট

ধর্ষণের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারা প্রয়োগের নজির রয়েছে। তবে এবার এই আইনের প্রয়োগ নিয়ে বিশেষ মন্তব্য আদালতের। আদালতের পর্যবেক্ষণ এই আইনকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন মহিলারা। এখনকার দিনে এটাই প্রবণতা। কোনও পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে কোনও মহিলার সম্পর্কের অবনতি হলে ওই মহিলা তখন এই আইনটার অপব্যবহার করেন। সম্প্রতি একথা জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট।

আসলে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের ধারা আরোপ করা হয়েছিল। তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মহিলার সঙ্গে সহবাস করেছিলেন বলে খবর। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগের ওই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারপতি শারদ কুমার শর্মা এই পদক্ষেপ নেন। আর তখনই তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিচারপতি জানিয়েছেন, এই আধুনিক সমাজে ৩৭৬ ধারার অপব্যবহার করা হচ্ছে। মহিলারা এটিকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন। পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে মতবিরোধ হলেই তারা এই অস্ত্র ব্যবহার করছেন।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে আদালত বিয়ের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি নিয়েও বিশেষ মন্তব্য করেছে। আদালত জানিয়েছেন কোন সময়ে কোন পরিস্থিতিতে এই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেটা দেখা দরকার। কারণ সেই প্রতিশ্রুতি মিথ্যে ছিল কি না সেটা যাচাই করে দেখা দরকার।

আদালতের পর্যবেক্ষণ , ওই মহিলার সঙ্গে পুরুষের সম্পর্ক প্রায় ১৫ বছরের। ১৫ বছর পরে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হচ্ছে। আর ওই ব্যক্তির বিয়ের পরেও তিনি মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন।

আদালত দেখেছে, এই সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। ওই ব্যক্তি অপর এক মহিলাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তারপরেও তাদের মধ্য়ে যোগাযোগ ছিল।

এদিকে আদালতের পর্যবেক্ষণ, সব কিছু জেনে ওই মহিলা আবেদনকারী পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। ওই ব্যক্তি বিবাহিত এটা জেনেও তিনি এই সম্পর্ককে চালিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, যদি এর মধ্য়ে সম্মতি থাকে তবে এটাতে ধর্ষণ বলে উল্লেখ করা যাবে না। এটাকে সম্মতিসূচক সম্পর্ক বলে উল্লেখ করা যাবে।