Women Stripped in Maldah: ‘মণিপুরের মতো ঘটনা ঘটে বাংলাতেও’, প্রমাণে মরিয়া BJP, এবার মালদা নিয়ে টুইট অমিতের

গত পরশু রাতে হাওড়ার পাঁচলা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির অমিত মালব্য। তবে গতকাল সেই ঘটনার সত্যতা খণ্ডন করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। আর আজ একেবারে ভিডিয়ো পোস্ট করে দীর্ঘ টুইটে মালদার এক ঘটনা তুলে ধরেছেন অমিত মালব্য। বিজেপি নেতার অভিযোগ, মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়া হাট এলাকায় দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে মারধর করা হয়েছিল। এই ঘটনা নাকি গত ১৯ জুলাইয়ের। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। (আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে আরও এক মণিপুরি বিভীষিকা, ২ বোনকে গণধর্ষণ করে খুন ইম্ফলে, ধৃত ০!)

মণিপুরের সাম্প্রতিক বিভীষিকা দেশের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। তাতে কার্যত মুখ পুড়েছে বিজেপির। কারণ সেই রাজ্যে তাদেরই সরকার। বিগত তিনমাস ধরে হিংসা চলছে মণিপুরে। সরকারি হিসেবেই খুন হয়েছেন অন্তত ১৫০ জন। তবে নারী নির্যাতনের সাম্প্রতিক যে ঘটনা মণিপুরে ঘটেছে, তা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। এক সুরে উঠেছে প্রতিবাদী আওয়াজ। মণিপুরে মহিলাদের নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনার পর প্রথবার সেই রাজ্য নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল একুশের মঞ্চ থেকেও মমতা প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির ‘নারী সুরক্ষী নীতি’ নিয়ে। আর এরই মাঝে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বাংলার নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পালটা তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।

এক টুইট বার্তায় অমিত মালব্য লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক অব্যাহত রয়েছে। মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়া হাট এলাকায় দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে, নির্মমভাবে নির্যাতন চালানো হয় এবং তাঁদের মারধর করা হয়। এই ঘটনার সময় পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে গত ১৯ জুলাই সকালে। এই নির্যাতিত মহিলারা সামাজিকভাবে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের। তাঁদের রক্তের জন্য উন্মত্ত হয়ে উঠেছিল জনতা… এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয় ‘ভেঙে’ যাওয়া উচিত ছিল। তিনি নিছক অভিনয়ও করতে পারতেন। যেহেতু তিনি বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও… কিন্তু তিনি কিছুই করেননি। তিনি এই বর্বরতার নিন্দা করেননি। তিনি এতে ব্যথা ও যন্ত্রণাও প্রকাশ করেননি। কারণ এটি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নিজের ব্যর্থতা প্রকাশ করছে।’

এর আগে পাঁচলা নিয়ে অভিযোগ করে অমিত মালব্য টুইট করে অভিযোগ করেছিলেন, ‘৮ জুলাই, পঞ্চায়েত ভোটের দিন, হাওড়ার পাঁচলায় গ্রামসভার এক মহিলা প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছিল। এরপর তাঁকে নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছিল। নবান্ন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই ঘটনা ঘটে।’ পরে নির্যাতিতার স্বামীও সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, ‘স্ত্রীর সঙ্গে যা হয়েছে, তা মুখে বলা যাবে না।’ যদিও এই অভিযোগ খারিজ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি মনোজ মালব্য। তিনি বলেন এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। মনোজ মালব্য এই নিয়ে গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘গত ১৩ জুলাই হাওড়া গ্রামীণের এসপি-কে ইমেল মারফত অভিযোগ জানায় বিজেপি। বলা হয়, পাঁচলায় ভোট কেন্দ্র থেকে টেনে বের করে নিয়ে এসে এক মহিলা প্রার্থীর পোশাক ছেঁড়া হয়। এরপর এই মামলায় একটি এফআইআর রুজু হয়। পুলিশ তদন্ত করে। তবে জানা যায়, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগের সত্যতা নেই। তবে এই নিয়ে আরও তদন্ত চলছে। যেই বুথের কথ বলা হচ্ছে, সেখানে পুলিশের পাশাপাশি সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন ছিল।’