সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি–আইএসএফ, বাদল অধিবেশনের আগে বেনজির দৃশ্য

আজ, সোমবার বিধানসভায় বাদল অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠক ছিল। অথচ সেখানে বিরোধীরা যোগ দিলেন না। বিজেপি এবং আইএসএফের বিধায়কদের দেখতে পাওয়া গেল না। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন। আইএসএফের পক্ষ থেকে সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, বিধানসভার নিয়ম ভেঙেছে শাসকদল। বিরোধী দলকে ‘যোগ্য সম্মান’ দেওয়া হয়নি। তারই প্রতিবাদে বিধায়করা এই সর্বদলীয় বৈঠক বয়কট করেছে। আসলে মণিপুর কাণ্ডে চাপে পড়ে যেতে পারে বলেই কৌশলে এড়িয়ে গেলেন বৈঠক বিজেপি বিধায়করা বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সম্প্রতি বিধানসভার বাদল অধিবেশন সঠিক সময়ে হবে কিনা তা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল পরিষদীয় দফতরের। ফলে প্রস্তাবিত বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরে অবশ্য সম্মতি মেলে রাজভবন থেকে। তার পর অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২৪ জুলাই থেকেই বাদল অধিবেশন শুরু হবে। তবে তার আগে হবে সর্বদলীয় বৈঠক। এই সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিলেন না কোনও বিজেপি বিধায়ক এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। কিন্তু কারও জন্য কিছু থেমে থাকেনি। বরং নির্ধারিত সময়েই অধিবেশন শুরু হয়। পাঠ করা হয় শোকপ্রস্তাবও। তারপরই অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার।

এদিকে নওশাদ সিদ্দিকী একমাত্র বিধায়ক ওই দলের। বিজেপির সেখানে বেশ কিছু বিধায়ক আছেন। তাঁরা সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না। আর শুভেন্দু অধিকারী নয়াদিল্লি গিয়েছেন দলের বৈঠকে যোগ দিতে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, কেন বিজেপি বিধায়করা সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিলেন না?‌ বিজেপি সূত্রে খবর, বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি থেকে শুরু করে নানা কমিটিতে বিরোধী দলকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা। সেখানে তা করা হয়নি। বরং বিজেপি ছেড়ে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তাঁদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ম ভঙ্গের সামিল। তাই প্রতিবাদে সর্বদল বৈঠকে যাননি বিজেপি বিধায়করা।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌বিনা বিচারে একবছর জোর করে আটকে রেখেছে’‌, আদালতের পথে সুর চড়ালেন পার্থ

আর কী জানা গিয়েছে?‌ একবার পিএসি–তে মুকুল রায়কে চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। তৃণমূল ভবনে গিয়ে উত্তরীয় পরার পর ওই পদে আসীন হন মুকুল রায়। তারপর তিনি ওই পদে ইস্তফা দিতেই তা চলে যায় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর কাছে। তিনিও বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করতে স্পিকারের কাছে আবেদন করেছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। কিন্তু এখনও তিনিই আছেন পিএসি’‌র পদে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে পিএসি’‌র জন্য যে ৬ জনকে মনোনীত করা হয়েছিল, তাতে মুকুল বা কৃষ্ণ কেউ ছিলেন না। যদিও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, নিয়ম মেনেই পিএসি’‌র চেয়ারম্যান করা হয় রায়গঞ্জের বিধায়ককে।