RBI-র নয়া অনুমোদন, হাসপাতাল ও আবাসনে ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ পিয়ারলেসের

আগামী তিন বছরে হাজার কোটি টাকা মূলধনী ব্যয়ের ঘোষণা করল পিয়ারলেস গ্রুপ। এই অর্থ একটি হাসপাতাল এবং রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে উন্নয়নে খরচ করা হবে। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থাটি জানিয়েছে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে ৬৩৫ কোটি টাকা আয় করেছে। বিগত আর্থিক বছরের তুলনায় আয় ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পিয়ারলেসের চেয়ারম্যান পার্থ ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোভিডের পূর্বে পিয়ারলেসের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। কিন্তু কোভিড পরবর্তী কালে সংস্থার আর্থিক বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। গত বছরে আয় বৃদ্ধির হার ২২ শতাংশে গিয়েছে পৌঁছেছে।’

চলতি বছরে গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ পিয়ারলেস জেনারেল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি (PGFI) রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি – ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ক্রেডিট কোম্পানি (NBFC-ICC) এর লাইসেন্স পেয়েছে। এর ফলে গ্রুপের বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আরও প্রসারিত হয়েছে। পিয়ারলেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়ন্ত রায় বলেন, ‘আগামী দিনে সংস্থার লক্ষ্য গ্রুপের অধীনে থাকা হোটেল এবং হাসপাতালগুলির সংস্কারে জোর দেওয়া।’ কলকাতায় সংস্থার যে সম্পতি রয়েছে তাতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, রাজারহাটে সংস্থাটি ‘ট্রিয়াম’ নামে একটি ১৫ তলা খুচরা বাণিজ্যিক আবাসিক রিয়েল এস্টেট প্রকল্প শুরু করেছে। উদ্ভাবনী এই রিয়েল এসেস্ট প্রকল্পটি পরিকল্পনা করেছে থাইল্যান্ডের একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ডিজাইন ফার্ম। ৬.৪ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জু়ড়ে থাকা এই প্রকল্পের কাজ চলছে জোর কদমে। বছর দুয়েকের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এই প্রকল্পে ৬০০ কোটি বিনিয়োগের পরিমাণ অনুমান করা হয়েছে।

এছাড়া সংস্থাটি তাদের হাসপাতাল প্রকল্পেরও সম্প্রসারণ শুরু করেছে। হাসপাতালে ৪০০ শয্যাকে বাড়িয়ে ৭০০ করা হচ্ছে। এই সম্প্রসারণ প্রকল্পে একটি অত্যাধুনিক অনকোলজি ব্লক থাকবে বলে জানিয়েছেন জয়ন্ত রায়।

হাসপাতাল প্রকল্পের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ কোটি টাকা ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করেছে। এর পাশাপাশি সংস্থার নিজস্ব সামাজিক প্রয়াস ‘গদাধর অভ্যুদয় প্রকল্প’-এরও বিস্তার ঘটিয়েছে পিয়ারলেস গ্রুপ।