একসপ্তাহ ধরে শুনতে হয়েছে গর্জন, পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ খাঁচায় বন্দিতে আতঙ্ক কাটল

একসপ্তাহ ধরেই চিতাবাঘের উপস্থিতি লক্ষ্য করতে পেরেছিলেন গ্রামবাসীরা। রোজ দিন সকাল হতেই দেখা মিলছিল পায়ের ছাপ। রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। জঙ্গল থেকে লোকালয়ে গা–ঢাকা দিয়েছিল চিতাবাঘটি। এমনকী কয়েকজনের বাড়ির পোষ্যও তার পেটে গিয়েছিল। দিন কাটছিল চরম আতঙ্কে। সেই আতঙ্কেই খাঁচা পাতা হয়েছিল। ঠিক একসপ্তাহের মাথায় সেই খাঁচাতেই ধরা পড়ল চিতাবাঘটি। আজ, মঙ্গলবার সকালে বাতাবারি চা–বাগানে খাঁচা বন্দি হল পূর্ণবয়স্ক চিতা বাঘটি। আর সেটা নিজেদের চোখে দেখে তবেই আতঙ্ক কাটল গ্রামবাসীদের।

ঠিক কী ঘটেছে চা–বাগানে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ মঙ্গলবার সকালও চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পেয়ে ছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু সদলবলে কাছে গিয়ে দেখলেন একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ খাঁচায় বন্দি হয়ে ছোটাছুটি করছে। আর তীব্র গর্জন করছে। মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ি চা–বাগানে এই ঘটনা দেখে আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেলেন গ্রামবাসীরা। এই খবর চাউর হতেই খাঁচা বন্দি চিতাবাঘকে দেখতে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান। আর খবর দেওয়া হয় বন দফতরের খুনিয়া স্কোয়াডে। এখন সেখানে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। কারণ এই চিতাবাঘের আতঙ্কে স্বেচ্ছায় অনেকে গৃহবন্দি হয়ে পড়ে ছিলেন।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ চিতাবাঘ আজ সকালে খাঁচা বন্দি হতেই বনকর্মীরা এসে খাঁচা সহ–চিতাবাঘ নিয়ে যায়। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যার পরই বাতাবাড়ি চা–বাগান থেকে শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে পড়ছিল চিতাবাঘ। আর গৃহস্থের বাড়ি থেকে নিয়ে যাচ্ছিল ছাগল, কুকুর। যার ফলে আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে বের হচ্ছিলেন না। বাগানে রাতে পাহারাদাররাও আতঙ্কে বাগান পাহাড়া দিচ্ছিলেন। এবার গোটা ঘটনার সমপ্তি ঘটল। চা বাগানে চিতা বাঘের আনাগোনা লক্ষ্য করছিলেন। চা–বাগান কর্তৃপক্ষ বন দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছিল সেখানে খাঁচা পাতার জন্য।

আরও পড়ুন:‌ আজ থেকে কলেজে স্নাতকস্তরের পঠনপাঠন শুরু, বিপুল পরিমাণ আসন এখনও খালি

তাহলে ধরা পড়ল কেমন করে?‌ একসপ্তাহ আগে ছাগলের টোপ দিয়ে সেখানে খাঁচা পাতে খুনিয়া স্কোয়াড। এরপর ২৪ জুলাই বাগানের ফাইভ বি–সেকশনে ওই খাঁচা বসানো হয়। সাত দিন পর আজ, মঙ্গলবার ওই খাঁচায় খাঁচা বন্দি হয় চিতাবাঘ। অবশেষে চিতাবাঘ খাঁচা বন্দি হওয়ায় কিছুটা আতঙ্ক কমল বাগান শ্রমিক–সহ স্থানীয়দের। বন দফতর সূত্রে খবর, খাঁচাবন্দি হওয়া লেপার্ড পূর্ণবয়স্ক এবং গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। গরুমারা প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে শারীরিক পরীক্ষার পর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।