জাতীয় মঞ্চে কেন মমতা-ইয়েচুরি পাশাপাশি? নিচুতলাকে বোঝাতে কর্মসূচি নিল সিপিএম

বিজেপি বিরোধী জোট বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে সীতারাম ইয়েচুরি। পাটনা, বেঙ্গালুরুতে এই দৃশ্য দেখে বিস্তর ক্ষোভ জমেছে সিপিএমের নিচুতলার মনে। তাই ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে কর্মসূচি নিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আগামী ১৩ আগস্ট রাজ্য জুড়ে পাঠচক্র কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল, ‘ইন্ডিয়া’কে ঘিরে যে অস্বস্তি দলের নিচতলায়, তা দূর করা। দলের কর্মীদের কাছে ব্যাখ্যা করা কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাঠচক্রের অনুষ্ঠানিক বিষয় হল, গত পার্টি কংগ্রেসে যে ‘রাজনৈতিক-রণকৌশলগত লাইন’ নেওয়া হয়েছিল তা স্পষ্ট করা। অনুষ্ঠানিক ভাবে না বললেও কেন জাতীয় মঞ্চে মমতা-ইয়েচুরি পাশাপাশি কেন তার ব্যাখ্যা দেওয়া হবে এই পাঠচক্রে। আনন্দবাজারের অনলাইনের প্রতিবেদনে তেমনটাই দাবি করা হয়েছে।

(পড়তে পারেন। নিজেদের এলাকাকে বাঁচান-বিজেপি বিধায়কদের কেন এই কথা বললেন সেচমন্ত্রী)

২০২২ সালের এপ্রিলে কেরলের কন্নুর শহরে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তার পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। সাধারণ ভাবে পার্টি কংগ্রেস শেষ হওয়ার পরপর রণকৌশলগত সিদ্ধান্ত পার্টির সদস্য এবং কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রশ্ন হল প্রায় এক বছর পর তা আবার নতুন করে কেন পার্টি কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে?

সিপিএমের এক রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জানিয়েছেন, ও ভাবে ঘোষণা করে তো বলা যায় না, তাই রাজনৈতিক-রণকৌশলগত লাইনের কথা বলা হয়েছে। এই কর্মসূচিতেই তৃণমূলের সম্পর্কে দলের অবস্থান স্পষ্ট করা হবে। জানিয়ে দেওয়া হবে, তৃণমূলের সঙ্গে কোনও জোট হবে না। বাংলায় লড়াই তৃণমূল বিজেপি উভয়ের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে ১৩ পাতার একটি নোটও তৈরি করা হয়েছে। সেই নোটেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্পষ্ট করা হয়েছে কেন সর্বভারতীয় প্রেক্ষিতে এই জোট বৈঠক এড়ানো সম্ভব নয়। এ সবই পাঠচক্রে ব্যাখ্যা করা হবে।

ওই সিপিএম নেতা জানিয়েছেন, বিজেপি বিরোধী সর্বভারতীয় মঞ্চে না গেল রাজনীতিতেই দলকে তার অবস্থান নিয়ে প্রশ্নের মুখ্য পড়তে হতো। তাই সারারণ কর্মীদের সবটা ব্যাখ্যা করে বলা হবে। তাদের বলা হবে, এ রাজ্যে তৃণমূলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না। সে কারণে বাংলায় জোড়া ফুলকে পদ্মের সঙ্গে একই পঙতিতে রাখছে সিপিএম, সেটাই খোলসা করে বলা হবে দলের কর্মীদের কাছে।

সিপিএমের এই পদ্ধতিকে ‘মিথ্যাচার’ বলেই মন্তব্য করছে তৃণমূল।