Elephant Death: সংকোশে ভেসে এল কাটা হাতির মাথা, দুটি দাঁত উধাও, রহস্য সমাধানে বন দফতর

সংকোশ নদীর জলে ভেসে এল হাতির কাটা মুন্ডু। দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চোখে পড়ল দুই স্কুল পডুয়ার। নদীর পার দিয়ে হাঁটার সময় তাদের না দুর্গদ্ধ আসে। উৎস খুঁজতে গিয়ে জলের দিকে তাকিয়ে দেখে হাতির কাটা মুন্ডু। তাদের ডাকাডাকিতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে। তারা খবর দেন বনদফতরে। বনদফতরের কর্মীরা কাটা মুন্ডুটিকে নদী থেকে উদ্ধার করে। তাঁদের অনুমান অসম থেকে মুন্ডুটি ভেসে এসেছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় আলিপুরদুয়ারের ভল্কা বারবিশা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শালবাড়ি কাঁঠালতলায়।

বনকর্মীরা প্রায় ১০-১২জন এই উদ্ধার কাজ শুরু করেন। কাটা মাথাটিকে নদীর কিনারায় এনে সেটি কালো পলিথিন দিয়ে মুড়ে ফেলেন। তার পর তাকে টেনে পারবাঁধে তুলে আনা হয়। সেটি নিয়ে যাওয়া হয় বারবিশা বিট অফিসে ময়না তদন্তের জন্য।

(পড়তে পারেন। পরীক্ষা চলাকালীন ক্লাসরুমে ঢুকে ছাত্রীকে ছোবল মারল সাপ)

এক প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘হাতির মাথাটায় দুটো দাঁত ছিল না। চোয়ালের গোড়া থেকে কাটা ছিল। সামনে যেতেই দুর্গন্ধ লাগছিল। দেখে মনে হয়েছে দিনকয়েক আগেই হাতিটিকে মেরে দাঁত দুটিকে কেটে নিয়ে মুন্ডুটা জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

বন কর্মীরা ভল্কা ও কুমারগ্রাম রেঞ্জের আশপাশে হাতি দেহ খুঁজে বার করার জন্য তল্লাশি চালান। বনদফতর সূত্রে খবর কিছু মেলেনি। হাতিটি বয়স্ক বলে অনুমান বনকর্মীদের। বক্সা ব্যাঘ্র-প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকার্তা অপূর্ব সেন বলেন,’সংকোশ নদী থেকে একটি বয়স্ক হাতির কাটা মাথা উদ্ধার হয়েছে। এটি অসম থেকে ভেসে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’

তবে স্থানীয় বাসিন্দা একাংশের দাবি, হাতিটাকে দাঁতের জন্য গুলি করে দেহ টুকরো টুকরো করে ভাসিয়ে দিয়েছে চোরাশিকারিরা। মাথাটি কোনভাবে নদীর চরে কম জলে আটকে গিয়েছে। এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সাজাও দাবি করেছেন তাঁরা।