চারমাস আগে আদালত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও চাকরি মেলেনি। তাই ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ৬২ জন চাকরি প্রার্থী। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলাটি দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হতে পারে।
এনসিটিই-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্নাতকস্তরে উপযুক্ত নম্বর থাকলেও পর্ষদ তাঁদের প্রথামিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেয়নি পর্ষদ। এনসিটিই-র গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাথমিকের পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে ৪৫ শতাংশ নম্বর দরকার স্নাতরস্তরে। ওই চাকরিপ্রার্থীদের ৪৫ শতাংশ নম্বর ছিল। কিন্তু অভিযোগ, পর্ষদ জানায় স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর না পেলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারা যাবে না। এনসিটিই-র নির্দেশিকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মানেনি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
(পড়তে পারেন। TeT Scam: প্রাথমিক চাকরি কিনতে কত টাকা দিয়েছিলেন জেলে যাওয়া শিক্ষকরা? তাপস কি একাই খেতেন? মাথা কে? পর্দাফাঁস করল CBI)
এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন ৭৪ জন চাকরিপ্রার্থী। শুনানির পর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু গত ১০ এপ্রিল তাঁদের চাকরি দিতে বলেন। তিনি সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, চাকরীপ্রার্থীদের সমস্ত তথ্য যাচাই করে তাঁদের জুন মাসের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। কিন্তু জুন পেরিয়ে আগস্ট হয়ে গেলেও তাঁদের কেউ চাকরি পাননি। তাই বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে ফের মামলা করলেন ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী। পর্ষদের বিরুদ্ধে তারা আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছেন। বিচারপতি মামলা শুনানির জন্য গ্রহণ করছেন।
(পড়তে পারেন। Jiban Krishna Saha: টাকা ফেরত চাইলে গ্রেফতারির হুমকি দিতেন জীবনকৃষ্ণ, ফাঁস CBIএর প্রকাশ করা চ্যাটে)