Uluberia Accident: লকডাউনে বাধ্য হয়ে গাড়ি কিনেছিলেন, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২ উদীয়মান মহিলা বিজ্ঞানীর

সোমবার রাতে উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া সেতুতে দুর্ঘটনায় শোক আরও গভীর হল মৃতদের পরিচয় প্রকাশ্যে আসতে। মঙ্গলবার সকালে জানা যায়, মৃতদের মধ্যে ২ জন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদীয়মান বিজ্ঞানী। গাড়ির চালকের বিয়ে হয়েছে মাত্র ৪ মাস আগে। স্ত্রী গর্ভবতী। দুর্ঘটনায় ২ অধ্যাপিকার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়।

সোমবার সন্ধ্যায় কুলগেছিয়া সেতুর ওপর একটি সুজুকি আর্তিগা গাড়িতে ডিভাইডার ভেঙে ধাক্কা মারে একটি ডাম্পার। মুখোমুখি ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ জনের। এর মধ্যে ২ জন মহিলা ও ১ জন পুরুষ। মঙ্গলবার জানা যায়, নিহতরা হলেন কোন্নগরের বাসিন্দা বিদ্যাসাগর বিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক নন্দিনী ঘোষ (৩৬) ও সোদপুরের বাসিন্দা পরিবেশবিদ্যার অধ্যাপক মিশা রায় (৩৩)। সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে গাড়ি চালক বিশ্বজিৎ দাস (৩১)এরও।

নন্দিনীর বাবা সুদীপ ঘোষ জানিয়েছেন, মেয়ে শ্রীরামপুর কলেজে অধ্যাপনা করত। তার পর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে। ট্রেনেই যাতায়াত করত। কিন্তু লকডাউনের সময় দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ থাকায় গাড়ি কিনতে বাধ্য হয়। তার পর থেকে সহকর্মীদের সঙ্গে গাড়িতেই যাতায়াত করত। মাকে ছাড়া ও থাকতে পারত না। তাই মেদিনীপুরে থাকার কখনও পরিকল্পনা করেনি। রোজ সকাল ৮টায় বেরতো, রাত ৮টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসত। কাল ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে ৫টা নাগাদ মাকে ফোন করেছিল। রাত বাড়লেও না ফেরায় দুশ্চিন্তা হতে থাকে। ফোন করলেও ধরছিল না। অবসরপ্রাপ্ত এই IPS আধিকারিক বলেন, এর পর লালবাজারে পরিচিত পুলিশকর্মীদের ফোন করি। এর পর ওর ফোনে আবার ফোন করি। তখন উলুবেড়িয়া থানার এক পুলিশ আধিকারিক ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দেন।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কোন্নগরের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাসের। তিনি ওই গাড়ির চালক ছিলেন। মা ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার ছিল বিশ্বজিতের। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি ছিলেন তিনি। ৪ মাস আগে বিয়ে করেন বিশ্বজিৎ। স্ত্রী গর্ভবতী। স্বামীর মৃত্যু সংবাদে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি। এই দুর্ঘটনায় ঘাতক গাড়ির চালকও আহত হয়েছেন।