যে কারণে বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল

শর্টসার্কিট হয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ থাকায় গতকাল (৯ আগস্ট) দুই ঘণ্টার জন্য মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। শেওড়াপাড়া থেকে আগারগাঁও অংশে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে কী কারণে শর্টসার্কিট হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বাংলা ট্রিবিউনকে এ কথা জানান এমআরটি লাইন-৬-এর ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্র্যাক বিভাগের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক  (যুগ্ম সচিব) মো. জাকারিয়া।

তিনি বলেন, গতকাল মেট্রোরেল চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার কারণ বের করতে একটা কমিটি করা হয়েছে। এবং আমাদের সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এর আগে প্রকৃত কারণ জানা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে আমাদের সফটওয়্যার বলছে, একটা শর্টসার্কিট হয়েছে। এই শর্টসার্কিটের উৎপত্তি কী কারণে হয়েছে সেটা তদন্ত কমিটি খুঁজবে।

আগারগাঁও থেকে শেওড়াপাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে এই শর্টসার্কিট হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন জায়গায় সেকশন করা আছে। দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আমাদের আট-দশটা সেকশন আছে। আমাদের গতকালের সমস্যা হয়েছিল শেওড়াপাড়া টু আগারগাঁও সেকশনে। এই সেকশনে আমাদের মেট্রোরেল চলাচলের যে ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম সেখানে কোনও বিদ্যুৎ ছিল না। উত্তরা থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল।

কী কারণে মেট্রোরেলের লাইনে শর্টসার্কিট হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনও সার্কিট বা তারের ওপর কোনও বস্তু পড়লে শর্টসার্কিট হতে পারে। সেটা বাতাসে উড়ে আসা বস্তুতেও হতে পারে।

সমস্যা সমাধানে দুই ঘণ্টা সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া বলেন, কোনও যন্ত্র যদি ফল করে তাহলে সেটা বন্ধ হয়ে তিন সেকেন্ডের মধ্যে আবার সিস্টেম চালু করবে। এ রকম তিনবার করবে। এই তিনবারে যখন দেখবে সমস্যা যায় নাই,  তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তখন হাতেনাতে খুঁজে দেখতে হবে সমস্যাটা কোথায়। আমাদের লোক ডিপো থেকে এসে শেওড়াপাড়া মেট্রোস্টেশন থেকে ট্র্যাকে নেমে আগারগাঁও পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে দেখতে হয়েছে সমস্যাটা কোথায়। এ কারণে কিছুটা সময় লেগেছে।

আরও পড়ুন: দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবার চালু মেট্রোরেল