K2 Accident: K2 জয় করতে গিয়ে শেরপাকে মাড়িয়ে গেলেন পর্বতারোহী? বিরাট অভিযোগ অভিযাত্রীর নামে

খুব নামজাদা পর্বতারোহীর নামে অভিযোগ উঠল এক মৃতপ্রায় শেরপাকে সাহায্য না করার। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠল, তাঁকে মাড়িয়ে শৃঙ্গ জয়ের দিকে চলে যাওয়ারও। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের K2শৃঙ্গের কাছে। অভিযাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শুধুমাত্র বিশ্বরেকর্ডের লোভে একজন মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার জন্য সাহায্য করেননি।

ঘটনাটির জন্য অভিযোগের মুখে নরওয়ের কয়েক জন পর্বতারোহী। তাঁদের দলের প্রধান ক্রিস্টিন হারিলা। অভিযোগের বেশির ভাগ তীর তাঁর দিকেই। ওই সময়েK2শৃঙ্গ জয় করতে যাওয়া আরও কয়েক জন পর্বতারোহী অভিযোগ করেছেন, ক্রিস্টিনদের পথের উপর পড়েছিলেন শেরপা মহম্মদ হাসান। ক্রিস্টিনরা তাঁকে কোনও সাহায্য তো করেননি, উল্টে তাঁকে মাড়িয়ে চলে যান তাঁরা। অন্য পর্বতারোহীদের দাবি, নরওয়ের দলটি ওই শেরপাকে সাহায্য করলে, তাঁকে মরতে হত না।

কোন বিশ্বরেকর্ডের দিকে দৌড়োচ্ছিলেন ক্রিস্টিন? ৩৭ বছরের এই পর্বতারোহী মাত্র তিন মাসের মধ্যে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ষৃঙ্গগুলির মধ্যে ১৪টি জয় করে ফেলেছেন। ৮০০০ মিটারের উপরে থাকা সব ক’টি শৃঙ্গ এত অল্প সময়ের মধ্যে জয় করা একটি রেকর্ড। এর মধ্যেK2জয়ের পথেই ঘটে এই ঘটনাটি।

কী ঘটেছে সেখানে? শোনা গিয়েছে শেরপা মহম্মদ হাসান শৃঙ্গ থেকে ১৩০০ ফুটের আগে পড়ে যান। কিন্তু কেউ তাঁকে সাহায্য করেননি। অন্য পর্বতারোহীদের ড্রোন ক্যামেরায় সেটি দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা কী বলছেন? ক্রিস্টিন দাবি করেছেন, শেরপা মহম্মদ হাসানের কাছে সঠিক গুণমানের যন্ত্রপাতি ছিল না। ৮০০০ মিটারের উপরের শৃঙ্গ জয়ের জন্য যা যা লাগে, তা ছিল না ওঁর কাছে। ওঁকে উদ্ধার করতে গেলে বাকি অভিযাত্রীদের জীবন বিপন্ন হতে পারত বলেও তিনি দাবি করেছেন। যদিও তাঁর এই কথাকে পাত্তা দেননি অনেকেই।

ইনস্টাগ্রামে ক্রিস্টিন তাঁরK2জয়ের কথা যে পোস্টে জানিয়েছেন, তার নীচেই ভরে গিয়েছে ভর্ৎসনার কমেন্ট। অনেকেই তাঁকে গালি দিয়েছেন। কেউ কেউ ‘অমানবিক’, ‘লোভী’— এসবও বলেছেন।

ওই দিন কাছাকাছিই ছিলেন অস্ট্রিয়ার দুই পর্বতারোহীও। তাঁদেরই ড্রোনের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নরওয়ের পর্বতারোহীদের দলের সকলে মাড়িয়ে চলে যাচ্ছেন শেরপা মহম্মদ হাসানকে। এই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলির হাতেও। অস্ট্রিয়ার অভিযাত্রীরা অভিযোগ করেছেন মহম্মদ হাসানকে মানুষ বলেই বিবেচনা করেননি নরওয়ের অভিযাত্রীরা।