IIT Kharagpur: জয়রামনেই ভরসা, IIT–র ছাত্র মৃত্যুতে সিটের বাকি সদস্যদের নিয়োগ বাতিল হাইকোর্টের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা মৃত্যুতে এখন তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। তারই মধ্যে খড়্গপুর আইআইটির ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। আজ বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ আইপিএস অফিসার কে জয়রামনের নেতৃত্বে সিট গঠন করেছিল। সে সংক্রান্ত মামলায় এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে জয়রামণকে রাখলেও তদন্তকারী দলের বাকি সদস্যদের সরিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: কেন হস্টেলে সিসিটিভি ছিল না? যাদবপুর কাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা দায়ের তৃণমূল নেতার

ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, জয়রামনের নেতৃত্বেই তদন্ত চলবে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, তদন্তকারী দলে সদস্যদের জয়রামন বেছে নেবেন। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে ছাত্রের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত হয়। তাতে প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে তৃতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিস্তর পার্থক্য দেখা যায়। তাতে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ডিভিশন জানিয়ে দিয়েছে, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ীই তদন্ত চলবে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা খড়্গপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় জয়রামনের নেতৃত্বে সিট গঠন করেছিলেন। সেক্ষেত্রে তদন্তকারী দলে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। এদিন মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, কোনও অবসরপ্রাপ্ত অফিসারকে তদন্তে না রাখা ঠিক হবে।

সিঙ্গল বেঞ্চ সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়ার পরেই আইআইটি কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকার তার বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল। তাদের যুক্তি ছিল, কোনও কারণ ছাড়াই তদন্তভার হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই সিটের বাকি সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী অক্টোবর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হলের একটি ঘর থেকে ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তারপরেই ছেলেকে খুনের অভিযোগ করেছিলেন পড়ুয়ার বাবা মা। প্রথমে মৃতদেহটি ফয়জানের বলে অস্বীকার করে তাঁর পরিবার। পরে তাঁরা দেহটি শনাক্ত করেন। ফয়জানের মৃত্যুর ঘটনায় খড়গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি এফআইআর রুজু করেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই পড়ুয়া আইআইটি কর্তৃপক্ষকে একটি ইমেইল করেন। তাতে ৪ ছাত্রের বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়। এমনকী ওয়ার্ডেন এবং সহকারী ওয়ার্ডেন এনিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ তোলা হয়। যদিও পরে ৪ জন আদালতে গিয়ে সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে যায়।