Jadavpur Student Death: টিএমসিপি-র ডেপুটেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার যাদবপুরে, শ্লীলতাহানির অভিযোগ

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ডেপুটেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) সদস্যের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বাম ছাত্র সংগঠনগুলির সদস্যরা। তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় ক্যাম্পাসে। টিএমসিপি-র অভিযোগ, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এমন কী মহিলা সমর্থকদের শ্লীলতাহানী করা হয়েছে বলে তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ। যদিও বাম সংগঠনগুলি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এদিন ৮বি বাস স্ট্যান্ডে ধর্না কর্মসূচি ডাক দিয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেখান থেকে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি দল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য। সেই সময় বাম ছাত্র সংগঠগুলির ডাকে জেনারেল বডির মিটিং চলছিল। টিএমসিপিকে ঢুকতে দেখে বাম ছাত্রসংগঠনগুলি জিবি বন্ধ করে বেরিয়ে আসে। অরবিন্দ ভবনের সামনে দু’পক্ষের সদস্যরা মুখোমুখি হলে পরস্পরের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসা থেকে ধ্বস্তাধ্বস্তিও বাধে।

(পড়তে পারেন। Jadavpur Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত ৬ জনের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজত)

তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন,’আমরা শান্তিপূর্ণভাবে স্মারকলিপি জমা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু বাম সংগঠন ও এসএফআই আমাদের বাধা দিয়েছে। ওরা মুখেই শুধু গণতন্ত্রের কথা বলে। আমাদের মেয়েদের হেনস্থা করা হয়েছে, শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে।’ তাঁর অভিযোগ,’ক্যাম্পাসে মদ-গাঁজা খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে ভয় পেয়েই কী আমাদের আটকানো হচ্ছে?’

এদিন ধস্তাধস্তির সময় এক টিএমসিপি কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন বামেদের কয়েকজন কর্মীও।

অন্যদিকে টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার বলেন, ‘এরা মুখে শুধু বড় বড় কথা বলে। স্মারকলিপি জমা দিতে এসে আমাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থাই করা হল। আমরা জামা ছিড়ে দেওয়া হয়েছে। এরা আবার প্রগতিশলীতার কথা বলে। আমি জানি না কেন এটা আামাদের বাধা দেওয়া হল। আমার ভাইয়ের মৃত্যু হল। ওঁরা চায় না দোষীরা সাজা পাক।’ অন্যদিকে AIDSO ও SFI-র অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ক্যাম্পাসে ঢুকে অশান্তি পাকিয়েছে। তাদের দাবি, যারা এসেছিল তারা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় সব বহিরাগত। ওরাই প্রথম অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি যুব মোর্চার তরফে ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১৬ই অগষ্ট থেকে ১৯শে অগষ্ট পর্যন্ত লাগাতার এই কর্মসূচি চলবে।