জাবিতে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে ফের বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উন্নয়ন প্রকল্পের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও অপ্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা বন্ধের দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ আগস্ট) বেলা তিনটায় এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে টারজান পয়েন্ট পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে সেটি শেষ হয়।

সমাবেশে ৪৯ ব্যাচের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নূরে তামিম স্রোতের সঞ্চালনায় ৪৮ ব্যাচের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আশফার রহমান নবীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাহাঙ্গীরনগর থেকে প্রগতিশীলতা ও সাংস্কৃতিক চর্চা নষ্ট করতে গাছ কেটে ইটপাথরের জঞ্জালে পরিণত করতে চাইছে। এ ধরনের অপরিকল্পিত কাজের বিরুদ্ধে কথা বললে আমাদের উন্নয়নবিরোধীসহ নানান ট্যাগ দেওয়া হয়। আমরা উন্নয়নবিরোধী নই, আমরা পরিকল্পিত উন্নয়ন চাই।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টকর্মী সজীব আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেখানে যেভাবে পারছে ভবন নির্মাণ করছে। শিক্ষকদের কোয়ার্টারগুলোতে মাত্র সাত জন শিক্ষক থাকছেন। চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও আবার শিক্ষক কোয়ার্টার নির্মাণ করা হচ্ছে।

মাত্র ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্তমান রেজিস্ট্রার ভবন সম্প্রসারণ করা সম্ভব। অথচ সেটা না করে নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনৌজ কান্তি রায় বলেন, তৃতীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণে দ্বিমত থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন টারজান পয়েন্টে সেটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। তারা আগে এই স্থানে ছাত্রীদের খেলার মাঠ নির্মাণের কথা বলেছিল। কিন্তু এখন সেই মত পাল্টে ফেলেছে।

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক তাপসী প্রাপ্তি দে বলেন, কেন প্রশাসনের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে অনীহা এই প্রশ্নটা আমাদের সকলের করা উচিত। শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়া হয়েছে অথচ এখন পর্যন্ত সেখানে তারা কোনও ধরনের চেয়ার-টেবিল দিতে পারেনি। আমাদের সকলের উচিত এই আন্দোলনে যোগ দেওয়া।

প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দশতলা বিশিষ্ট একটি প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।