আবার কি র‌্যাগিংয়ের ঘটনা?‌ মেদিনীপুরের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যখন এই রাজ্য তোলপাড় তখন আবার এক বাংলার পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর অভিযোগ উঠল ভিন রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। তা নিয়ে এখন ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আবার কি র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটল? প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় বিচারের আশায় পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে বিজয়ওড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে রহস্যমৃত্যু হয় মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা সৌরদীপ চৌধুরীর। পরিবারের সদস্যদের অনুমান, ব়্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে পড়ুয়ার।

এদিকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। মৃত ছাত্রের নাম সৌরদীপ চৌধুরী। মেদিনীপুরের বাসিন্দা। ২০২৩ সালে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন তিনি। ১৭ জুলাই ছেলেকে ওই কলেজের হস্টেলে রেখে আসেন তাঁর বাবা–মা। অন্ধপ্রদেশের কে এল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ভর্তি হয় ওই পড়ুয়া। তারপর একসপ্তাহের মধ্যে ছেলের মৃত্যুর খবর টেলিফোনে পান পড়ুয়ার বাবা। এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

অন্যদিকে গত ২৪ জুলাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সৌরদীপের বাবা সুদীপ চৌধুরীর কাছে আসে টেলিফোন। তাতে জানানো হয় ছেলের মৃত্যুর খবর। বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা হস্টেলের ১১ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সৌরদীপের। খবর পেয়েই অন্ধ্রপ্রদেশের উদ্দেশে পাড়ি দেয় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আর বাংলায় নিয়ে আসা হয় পড়ুয়ার দেহ। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে সৌরদীপের? বারবার জানতে চাওয়া হলেও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পক্ষ থেকে তেমন কোনও সদুত্তর মেলেনি! মানসিক নির্যাতন এবং র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন মৃত ছাত্রের বাড়ির লোকজন। শুধু ওই পড়ুয়ার শেষ মেসেজে লেখা ছিল, ‘‌টাটা’‌। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:‌ এবার হিন্দিতে আসছে তৃণমূলের ‘‌খেলা হবে’‌ গান, কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ছেলের এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সৌরদীপের বাবা সুদীপ চৌধুরী। এই ঘটনায় সুদীপবাবু সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌আমরা সেখানে গেলে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি। হস্টেলে যেতে দেওয়া হয়নি। থানায় যেতে চাইলেও আটকানো হয়। ময়নাতদন্ত পর্যন্ত করতে দিচ্ছিল না। ১১ তলা থেকে পড়ার কোনও চিহ্নও শরীরে ছিল না। নতুন জামা পরানো ছিল। গালে একটা কাটা দাগ দেখেছি।’‌ এই ঘটনার তদন্তের দাবি তুলে গুন্টুর জেলার তাডেপল্লী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।