JU Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে ‘মত’ প্রকাশ, জাতীয় শিশু কমিশনের চিঠিতে বিতর্ক

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে পড়ুয়া মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় রুজু হয়েছে খুনের মামলা। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে ৯ জন। আর এরই মধ্যে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের একটি চিঠি নিয়ে বিতর্ক দানা বেধেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জুকে একটি চিঠি পাঠান জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রধান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। সেই চিঠিতে লেখা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। আর এই নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যেখানে মামলার তদন্ত চলছে, সেখানে আগেভাগে কীভাবে মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে আখ্যা দেওয়া হল?

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ছাত্রকে। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে ১০ অগস্ট তার মৃত্যু হয়। এরপর ১১ অগস্ট মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রুজু হয়েছিল খুনের মামলা। সেই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস এবং রেজিস্ট্রারকে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের কাছে জাবদিহি চেয়ে চিঠি দেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা মিশনের প্রধান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। সেই চিঠিতেই তিনি এই ঘটনা প্রসঙ্গে লিখেছেন এটি ‘ব়্যাগিং এবং আত্মহত্যা’র কেস। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

এর আগে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের তরফেই সংবাদমাধ্যমের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল যাতে পড়ুয়ার নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়। কারণ, মৃত ছাত্র ছিল নাবালক। তার ওপর যৌন হেনস্থা হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে পকসো ধারায় মামলা হতে পারে এই ঘটনায়। তবে কমিশন প্রধানের চিঠিতেই গোটা গোটা অক্ষরে মৃত ছাত্রের নামের উল্লেখ রয়েছে। এদিকে চিঠিতে পকসো ধারায় মামলা করার কথা বলেছে কমিশন। তাই ছাত্রের নাম কীভাবে সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পরপর গ্রেফতারি হয়েছে। জেরা চলছে। এগিয়েছে তদন্ত। এই আবহে এবার সামনে এল আরও নয়া এক তথ্য। জানা গিয়েছে, ইন্ট্রোর নামে যাদবপুরের বাংলা বিভাগের সেই পড়ুয়াকে সিনিয়রদের ঘরে ঘরে ঘোরানো হয়েছিল। পরে একটি রুমে নিয়ে গিয়ে তার সব জামা কাপড় খোলানো হয়েছিল। পাশাপাশি যখন সিনিয়রদের ঘরে সেই পড়ুয়াকে ঘোরানো হচ্ছিল, তখন মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল তারে। করা হয়েছিল কুরুচিকর সব প্রশ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়া সহ মোট ৯ জনকে এখনও গ্রেফতার করা হয়েছে এই কাণ্ডে। ধৃতরা হল সৌরভ চৌধুরী, দীপশেখর দত্ত, মহম্মদ আরিফ, মহম্মদ আসিফ আফজল আনসারি, অঙ্কন সরকার, অসিত সর্দার, সপ্তক কামিল্যা, মনোতোষ ঘোষ, সুমন নস্কর। এখনও দুজন অভিযুক্ত পলাতক।