শহরের বুকে বিজেপি নেতার বাড়িতে চলল বুলডোজার, এটা কি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস?

এবার খাস কলকাতায় বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল বিজেপি নেতার বাড়ির একাংশ বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় খাস কলকাতায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপি অভিযোগ করছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। উত্তর কলকাতার বড়তলা থানা এলাকায় বিডন স্ট্রিটে বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের বাড়ির একতলায় থাকা দোকানঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয় কলকাতা পুরসভা বলে অভিযোগ।‌ এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর কলকাতার বড়তলা থানা এলাকার বিডন স্ট্রিটে।

এদিকে বিজেপির অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জেরেই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ও কাউন্সিলরের ইন্ধনে সুনীল সিংয়ের বাড়ির একাংশ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। সুনীলবাবু বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য ও শ্যামপুকুর বিধানসভার প্রাক্তন আহ্বায়ক। এই ঘটনার পর সুনীল সিংয়ের অভিযোগ, ‘‌তৃণমূল সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করতে চাইছে। আমি ওদের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলাম। তাই কলকাতা পুরসভাকেলেলিয়ে আমার বাড়ির একতলার দোকানঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’‌ এটা নিয়ে এখন বিজেপি সোচ্চার হতে চাইছে।

অন্যদিকে শ্যামপুকুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শশী পাঁজা এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ অস্বীকার করে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তারকনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌বেআইনি বলেই কলকাতা পুরসভা ওই অংশ ভেঙে দিয়েছে। এতে রাজনীতির কি আছে!‌’‌ ওই নির্মাণ ভাঙাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বড়তলা থানা এলাকায় বিডন স্ট্রিটে আলোড়ন পড়ে যায়। আজ, শনিবারও এলাকায় রয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। কলকাতা পুরসভার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা যায় তার জন্য আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন বিজেপি নেতা সুনীল সিং বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন:‌ ট্রেন ট্র‌্যাকে নেমে যন্ত্রের ত্রুটি ধরলেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার, তারপর ঠিক কী ঘটল?‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই ঘটনা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা। সুনীল সিং এই নিয়ে অভিযোগ করেন, ‘‌ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। বৃদ্ধ বাবা ডায়ালিসিসের রোগী। বাড়িতে বুলডোজার চালানোর আগে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সেখানে আরও অনেক দোকান আছে। সেই সব দোকানে তো বুলডোজার চলেনি। আমি বিজেপি করি বলেই কি এই ঘটনা ঘটল? পুলিশে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি।’‌ ২০২২ সালে ‘বুলডোজার রাজনীতি’ দেখা যায় উত্তরপ্রদেশে। যোগী আদিত্যনাথের সরকার বিক্ষোভকারীদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। এখন তো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও বুলডোজার ব্যবহার করতে নির্দেশ দিচ্ছেন।