অবশেষে নববধূর আগমন ঘটল, দাপুটে নেতা লক্ষ্মণ শেঠের মধুচন্দ্রিমা হল তাল কুটিরে

এখন তিনি আর সর্বহারার মহান নেতা নন। তিনি এখন চারদিক ঘুরে কংগ্রেস নেতা। একদা ছিলেন হলদিয়ার বেতাজ বাদশা। হ্যাঁ, তিনি প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। কিছুদিন আগে আবার বিয়ে করেছেন। তারপর থেকেই সেই বিয়ে নিয়ে পারিবারিক সমস্যা তৈরি হয়। লক্ষ্মণ শেঠের আগের পক্ষের ছেলেরা এই বিয়ে মেনে নিতে রাজি নন বলেই সূত্রের খবর। তাই তিনি কলকাতায় থাকতে শুরু করেন। বুড়ো বয়সে বিয়ে বলে কি রিসেপশন এবং মধুচন্দ্রিমা হতে নেই। এবার সেটাও করে দেখালেন লক্ষ্মণ শেঠ। একদিন আগেই, ১৮ অগস্ট বিয়ের রিসেপশন ছিল তাঁদের। অনেকেই সেখানে এসেছিলেন। নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলে লক্ষ্মণ শেঠের রিসেপশন হয়ে গেল।

এদিকে লক্ষ্মণ শেঠের মধুচন্দ্রিমা হল নিউটাউনের ইকোপার্কের তাজ হোটেল গ্রুপের তাল কুটিরে। ৭৫ বছর বয়সে নতুন করে জীবন সঞ্জিবনী পেয়েছেন তিনি। প্রাক্তন কমিউনিস্ট নেতা অধুনা প্রদেশ কংগ্রেস সহ–সভাপতি লক্ষ্মণ শেঠ সম্প্রতি বিয়ে করেন ৪৫ বছরের মানসী দে–কে। যদিও এই বিয়ে অবৈধ বলে দাবি লক্ষ্মণ শেঠের পরিবারের। তবে ২৪ মে বিয়ে করলেও আড়াই মাস পর ১৮ অগস্ট বিয়ের রিসেপশন দিলেন তিনি। রীতিমতো কার্ড ছাপিয়ে তা পাঠিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করা হয়েছে। ২০১৬ সালে লক্ষ্মণ শেঠের প্রথম স্ত্রী তথা প্রাক্তন বিধায়ক কবি–সাহিত্যিক আপনজন পত্রিকার সম্পাদিকা তমালিকা পন্ডা শেঠের মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে তখন থেকেই উদাস হয়ে পড়েছিলেন এই বাম নেতা। এখন তমালিকা দেবীর দুই সন্তান এবং বৌমা ও নাতি–নাতনি রয়েছেন। এবার নতুন হাতে হাত দিলেন কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। ৭৫ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন। লক্ষ্মণ শেঠের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম মানসী দে। কলকাতার বাসিন্দা মানসী দে শেঠ (‌৪৫)‌ একটি পাঁচতারা হোটেল গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার পদে ছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় লক্ষ্মণ শেঠের। পরে তা বিয়ে পর্যন্ত গড়াল। তিনি বিয়ের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, এক ইনিংসে খেলা জমে না। কিন্তু হলদিয়া কি ব্রাত্য থাকবে?‌ নিজের এলাকা বৌভাতের অনুষ্ঠান করবেন বলে জানান হলদিয়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রাক্তন সিপিএম নেতা অধুনা কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণ শেঠ।

আরও পড়ুন:‌ খোদ পুলিশের ব্যারাক থেকে ছাগল চুরি হয়ে গেল, জোরদার তদন্তে নামল তমলুক থানা

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নিজের এলাকা হলদিয়ায় না করে বিয়ের প্রীতিভোজ নিউটাউনে ইকো ট্যুরিজম পার্কে হওয়ায় অনেকে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন। তাই সবার মন রাখতে আগামী ২৭ এবং ৩০ অগস্ট দু’‌দিন ধরে প্রীতিভোজ হবে হলদিয়ায়। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ। সেখানে প্রায় তিন হাজার শুভানুধ্যায়ীকে আমন্ত্রণ করা হচ্ছে। কলকাতার ইকোপার্কের হোটেলে মেনুতে ছিল নানারকমের আইটেম। ইলিশ, চিংড়ি দুই ছিল। পরে পাবদা, চিতল মাছের মুইঠা এবং রকমারি মিষ্টি। সূত্রের খবর, লন্ডন থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল লক্ষ্মণ শেঠের পোশাক। লক্ষ্মণ পত্নী মানসী দেবীর গয়না কেনা হয় তানিষ্ক থেকে। লক্ষ্মণ শেঠের মধুচন্দ্রিমা হল তাল কুটিরে।