হস্টেল সুপার এককালে র‌্যাগিং করতেন, গুরুতর অভিযোগ আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজেে

যাদবপুরে ছাত্র মৃতুর ঘটনায় উত্তাল কলকাতা। র‌্যাগিংয়ের ফলে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি র‌্যাগিংয়ের মতো ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে। তারই মধ্যে এবার র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের হস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে। ঝন্টু মণ্ডল নামে এক চিকিৎসক এই অভিযোগ তুলেছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শুভজিৎ সাহা। 

আরও পড়ুন: পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার প্রাক্তনী

৯ বছর আগে হস্টেলে ছিলেন বর্তমান সুপার শুভজিৎ সাহা। সেই সময় ঝন্টু মণ্ডলও হস্টেলে ছিলেন। তখন তাঁকে র‌্যাগিং করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছে ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও–র সদস্যেরা। যাদবপুরের ঘটনার পরেই শনিবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে । সেই ভিডিয়োতে বর্তমান হস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ওই চিকিৎসক। (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইম বাংলা)। শনিবার প্রকাশ্যে আসা ওই ভিডিয়োয় চিকিৎসক দাবি করেন, ২০১৪ সালে ডেন্টাল কলেজের হস্টেলে থাকার সময় শুভজিৎ সাহা তাঁকে ঘরে ডেকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন। সেই সময় শুভজিৎ সিনিয়র হাউস স্টাফ ছিলেন। শাসকদলের ছত্রছায়ায় তিনি কলেজের হস্টেলে থাকতেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়া ওই চিকিৎসক শুভজিতের বিরুদ্ধে অন্যান্য জুনিয়ার চিকিৎসকদের নির্যাতন করার অভিযোগ তুলেছেন। চিকিৎসকের অভিযোগ, ২০১৬ সাল পর্যন্ত কলেজের হস্টেলে ছিলেন বর্তমান সুপার। ঘটনাটি ঘটেছিল আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের বেনিয়াপুকুরে অবস্থিত পুরনো হস্টেলে। সেই ঘটনায় ওই চিকিৎসক শুভজিৎ সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় এবং কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। 

এ বিষয়ে এআইডিএসও-র রাজ্য মেডিক্যাল ইউনিটের আহ্বায়ক সামস্ মুসাফিরের অভিযোগ, যিনি র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত তাঁকেই হস্টেলের সুপার করা হয়েছে। এ নিয়ে অধ্যাপকের কাছে স্বারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাতে কোনও কাজ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। ওই সংগঠনের আরও অভিযোগ, শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই তাঁকে হস্টেলের সুপার করা হয়েছিল। যদিও সুপার বলেন, ২০১৪ সালে এই অভিযোগ থেকে আদালত তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছিল। উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, যাদবপুর হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর পরেই একাধিক পদক্ষেপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হস্টেল থেকে প্রাক্তনীদের চলে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অতিথি হিসেবে থাকতে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।