পাকিস্তানের প্রাক্তন মানবাধিকার দফতরের মন্ত্রী শিরিন মাজারির কন্যা ইমান মাজারিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যের নানা বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করছেন এই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।
ওই মহিলা পেশায় আইনজীবী। তিনি মানবাধিকার রক্ষা সংক্রান্ত নানা বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত। তাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর মা শিরিন মাজারি আগে পাকিস্তান তেরেক ই ইনসাফের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু ৯ মে তারিখের দাঙ্গার পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। এরপর তিনি দল ছেড়ে দেন। এখন তাঁর দাবি, আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। সাদা পোশাকে লোকজন এসেছিল। সামনের দরজা ভেঙে মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে।
তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, আমাদের সিকিউরিটি ক্যামেরা, ল্যাপটপ, সেল নিয়ে পালিয়েছে ওরা। আমি ওদের প্রশ্ন করেছিলাম, তোমরা কারা। কিন্তু ওরা ইমানকে টেনে নিয়ে চলে গেল। আমার মেয়ে রাত পোশাকে ছিল। বলেছিল পোশাক বদলাতে দাও। সেটা পর্যন্ত করতে দিল না। কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই এসব করেছে। একেবারে ফ্যাসিজম চলছে। মনে রাখুন আমরা দুজন নারী ওই বাড়িতে থাকি। এটা অপহরণের ঘটনা।
এদিকে গ্রেফতারির আগে ইমান লেখেন, অজানা লোকজন বাড়িতে ঢুকে ক্য়ামেরা ভেঙে, গেট ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
এদিকে পাকিস্তান হিউম্যান রাইটস কমিশন এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
তাদের মতে, ইসলামাবাদ পুলিশ যেভাবে কোনও ওয়ারান্ট ছাড়াই এসেছিল বলে অভিযোগ, ঘরে ঢুকে, দরজা ভেঙে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা মানা যায় না।
এদিকে গত সপ্তাহেই তিনি পাস্তুন তাহাফুজ মুভমেন্ট নামে একটা গ্রুপের সভাতে অংশ নিয়েছিলেন। সেনার নানা ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়েও তিনি প্রশ্ন করেছিলেন। এর আগে তৎকালীন সেনা প্রধান জেনারেল(অবসরপ্রাপ্ত) কোয়ামার জাভেদ বাজওয়ার সমালোচনা তিনি করেছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। তবে মা মন্ত্রী থাকার সময় তিনি মাকেও রেয়াত করতেন না। আর সেই প্রতিবাদীকেই এবার তুলে নিয়ে গেল পুলিশ।